রূপবান কোথায়?

রূপবান যাত্রাপালার দৃশ্য
রূপবান যাত্রাপালার দৃশ্য

বাংলাদেশে শীতে দিনের চেয়ে রাতের পরিধি বেড়ে যায়। প্রাচীনকাল থেকে গ্রামের মানুষ সেই বাড়তি পরিধির শীতের রাতে উঠানে, প্রাঙ্গণে, মাঠে সংস্কৃতির আলো জ্বেলে চেতনাকে ঊষ্ণ করেন; পরিবেশনশিল্পের সৃজনশীলতায় জড়িয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হন। তবে দেশের সর্বত্র এখন ছড়িয়ে পড়েছে ডিজিটালসূত্র। সবার হাতে হাতে মুঠোফোনের মোহ, এমনকি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের তীব্র প্রবাহ দিনে দিনে বাড়ছে, টেলিভিশনের উজ্জ্বল স্কিনে যেন সব আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা; এত কিছুর মধ্যে শীতের সংস্কৃতির ঐতিহ্যিক প্রবহমানতা এখনো টিকে আছে গ্রামাঞ্চলে? এসব প্রশ্নের সূত্রে কোনো দূর অভিজ্ঞতার স্মৃতি নয়, বরং এ বছরেরই শীতের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার বয়ানে উদ্যোগী হয়েছি।
দূর থেকে জেনেছি, এই শীতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহুলবাড়িয়া গ্রামে পৌষসংক্রান্তিতে অন্যান্য বছরের মতো দু-তিন দিন ধরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভক্তরা মানিকপীরের গান পরিবেশন করেছেন, শিরনির জন্য চাল-ডাল নিয়েছেন এবং পৌষ মাসের শেষ দিন মানিকপীরের নামে শিরনি রেঁধে বিতরণ করেছেন। একই সময়ে লালমনিরহাট অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে পাগলাপীরের কৃত্য উপলক্ষে চলছিল গীত, নৃত্য, বাঁশ তোলা এবং নানাবিধ দৈহিক কসরত—সরাসরি উপস্থিত থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে এমন দৃশ্য অবলোকনের সুযোগ করে দিয়েছেন লালমনিরহাটের সন্তান সৌরভ বর্মণ। এ তো গেল কৃত্যাচারকেন্দ্রিক শীত মৌসুমের সংস্কৃতির কথা। এবার শীত সংস্কৃতির পেশাজীবী পরিবেশনকারীদের দিকে দৃষ্টিপাত করছি।
গত বছরের শেষ দিকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান শীতের সংস্কৃতির প্রধানতম ঐতিহ্য যাত্রাশিল্পের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করার আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনুসন্ধান করতে থাকি যাত্রাশিল্পের অকৃত্রিমধারা, শহরের যাত্রাপ্রেমীদের দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে ঢুকে পড়ি গ্রামে। যাওয়ার পথে নরসিংদী জেলার ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সাক্ষাৎ পাই খ্যাতিমান যাত্রাশিল্পী ও সংগঠক টি এইচ আজাদ কালামের। তিনি ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত যাত্রার চারটি সাজঘর ঘুরে দেখান। লোকনাথ সাজবিতানের মালিক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘নরসিংদিতে যাত্রা এখনো কতটা বেগবান, একটি তথ্য জানলেই তা আপনি বুঝতে পারবেন। আমাদের এই ভেলানগরেরই যাত্রা দলের জন্য আটটি সাজঘর রয়েছে। আমাদের একেকটি সাজঘরের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রাশিল্পী যুক্ত রয়েছেন। প্রতি রাতেই আমাদের এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যাত্রাগান হয়। তবে এই যাত্রা মূলত গীতিনাট্যধর্মী, যেমন—গুনাই বিবি, রূপবান, সাগরভাসা, আলোমতি প্রেমকুমার ইত্যাদি।’ লোকনাথ সাজবিতানের কাঠের আলমারিতে থরথরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যাত্রার পোশাক। এ ছাড়া যাত্রার অভিনয়-উপকরণের জন্য অনেকগুলো টিনের বড় বাক্স দেখা যায়। একই দৃশ্য দেখতে পাই শিউলি সাজঘর, মঞ্চশোভা সাজঘর, মিতা সাজবিতান ও ভাই ভাই সাজবিতানে। প্রতিটি সাজঘরের সাজ-পোশাক ছাড়াও দেয়ালে সাঁটা রয়েছে বিভিন্ন অপেরাগোষ্ঠীর পোস্টার এবং অভিনয়শিল্পীদের নাম, ছবিসহ বড় বড় ভিজিটাল প্রিন্ট।
নরসিংদী অঞ্চলের যাত্রার ঐতিহ্য ও সমকালীন চর্চা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের মধ্যে একপর্যায়ে পরিচয় ঘটে যাত্রাগানের প্রসিদ্ধ বাদক জাহাঙ্গীর আলম রতনের সঙ্গে। রাতে তিনি রূপবান যাত্রার আসরে ড্রাম বাজাবেন। কথাসূত্রে জানতে পারি, রূপবান যাত্রার নরসিংদী অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা ফরিদা পারভীন তাঁরই স্ত্রী। তিনিই আমাকে ডেকে নিয়ে যান সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কারের কাছে। বলেন, ‘ভাই, উঠে বসেন।’
বিস্ময়ে বলে উঠি, ‘আমরা কি এই গাড়িতে যাব?’ রতন বলেন, ‘এটা আমারই গাড়ি, আমি চালাই। আমার গিন্নি আগেই চলে গেছে। এবার চলেন আমারও রওনা করি।’
রাতের অন্ধকার ভেদ করে রায়পুরা উপজেলার নীলকুঠি এলাকা দিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ভেলানগর থেকে মামুদপুর গ্রামে পৌঁছাই।
যাত্রামঞ্চের কাছে গেলে দেখা যায়, আসরের জন্য নির্ধারিত মঞ্চটির চারদিক খোলা। প্রায় তিন-চার ফুট উঁচু করে কাঠের তক্তা বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে রূপবান যাত্রার মঞ্চ। মঞ্চের একদিকে ওপর থেকে নিচের দিকে কাঠ পেতে ঢালু একটি প্রবেশ-প্রস্থান পথ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই প্রবেশ-প্রস্থান পথের নিচের দিকে ভূমি সমতলে কাপড় দিয়ে ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে সাজঘর, সাজঘরের মাঝখানে একটি কাপড়ের পর্দা টানিয়ে নারী-পুরুষ শিল্পীদের ভিন্ন অবস্থান ও সাজ গ্রহণের স্থান নির্ধারিত।
মঞ্চের চারদিকে দর্শকের বসার ব্যবস্থা। দুই দিকে পুরুষ দর্শক ও দুই দিকে নারী দর্শকদের জন্য আগে থেকেই বাঁশ দিয়ে নির্ধারণ করা রয়েছে। দর্শক বসার জন্য সবুজ ঘাসের ওপর বিছানো হয়েছে হলুদ খড়।

.
.

মঞ্চের ওপরের দিকে পর্যাপ্ত আলোর জন্য বেশ কিছু বৈদ্যুতিক এনার্জি বাল্ব ঝোলানো এবং লম্বা টিউব লাইট বাঁধা। দর্শকদের কাছে সংলাপ, গীত ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম তথা মঞ্চের চারদিকে চারটি সাউন্ডবক্স এবং শিল্পীদের কডলেস মাইক্রোফোনের ব্যবহার দেখা গেল।
রূপবান যাত্রার অভিনয় শুরুর আগে একে একে হলো তিনটি কনসার্ট। তৃতীয় কনসার্টের শেষের দিকে মঞ্চে প্রবেশ করেন পাঁচ নারী অভিনয়শিল্পী, তাঁদের মধ্যে চারজন মঞ্চের চার কোণে, একজন মঞ্চের ঠিক কেন্দ্রে প্রবেশপথের বিপরীত দিক মুখ করে দাঁড়াতেই শেষ হয় তৃতীয় কনসার্ট। সঙ্গে সঙ্গে নারী শিল্পীরা সমেবত কণ্ঠে গেয়ে উঠলেন দেশাত্মবোধক গান—‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে/ বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা/ তোমাদের এই ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না/ না না না শোধ হবে না।...’
গানের চারটি অন্তরা মঞ্চের চারদিকে ঘুরে পরিবেশনের পর প্রস্থান করেন নারী শিল্পীরা।
মঞ্চের এক কোণে সবুজ রঙের প্লাস্টিকের একটি চেয়ার তুলে দেওয়া হয় এরপর। তখন কর্নেটে ধ্বনিত হলো রাজার আসরে প্রবেশের সুর। সেই সুরের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করে বিশেষ ভঙ্গিমায় চেয়ারে বসে পড়ল একাব্বর বাদশা। তার পেছনে আসা উজির মঞ্চের ঠিক বিপরীত কোণে দাঁড়িয়ে দূর থেকে কুর্ণিশ করল বাদশাকে। এ সময় বাদশা উচ্চকিত কণ্ঠে বলে—
একাব্বর বাদশা: উজির সাহেব!
উজির: বন্দেগী জাঁহাপনা!
একাব্বর বাদশা: প্রাচুর্য, ঐশ্বর্য, অধিপতি কোনো কিছুরই অভাব নেই আমার। অভাব শুধু একটি সন্তানের। একটি সন্তানের জন্য ওই মেহেরবান খোদাতালার দরবারে আমি কত কেঁদেছি, কত ডেকেছি, তারপর আমার কোনো সন্তান হলো না। তাই সমাজের কাছে, প্রজাদের কাছে আমি নিঃসন্তান হিসেবে অভিশপ্ত। এই অভিশাপের বোঝা আমি আর বইতে পারছি না উজির সাহেব।
উজির: আপনি যদি শিকারে যাত্রা করতেন, তাহলে আপনার মনের পরিবর্তন হতে পারত, জনাব।
একাব্বর বাদশা: আপনি যথার্থই বলেছেন উজির সাহেব। এ কথা তো আমি প্রথমে ভেবে দেখিনি। এখন যদি আমি হরিণ শিকারে যাই, তাহলে আমার মনের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
একাব্বর বাদশা ও উজির মঞ্চ থেকে প্রস্থান করলে একযোগে বেজে উঠল কর্নেট, কিবোর্ড, ড্রাম ও কঙ্গো। সেই বাদ্যধ্বনির মধ্যে মঞ্চে এল কালো পোশাকধারী দুই ডাকাত। তাদের কথাবার্তার ভেতরে মঞ্চে প্রবেশ করল আরও একজন—ডাকাত সরদার। নিজের ডাকাত সরদার হয়ে ওঠার কাহিনি এ সময় সে শোনাল সবাইকে: অভাবের তাড়নায় না খেতে পেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল তার (ডাকাত সরদারের) ছোট বোন। ক্ষুধার্ত বোনের খাবার সংগ্রহের জন্য সে গিয়েছিল একাব্বর বাদশার কাছে। কিন্তু বাদশা তাকে কোনো খাবার তো দিলই না, উপরন্তু অপমান করে বের করে দিল দরবার থেকে। এরপর সে বাড়ি এসে দেখে ছোট বোন মারা গেছে। ওই বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই আজ সে হয়েছে ডাকাত সরদার। এই ডাকাত সরদারের একটি বৈশিষ্ট্য এমন: ডাকাতি করে যা সে অর্জন করে, সবই বিলিয়ে দেয় গরিব-দুঃখীদের মধ্যে। ডাকাত সরদারের মুখে তার বোনের মারা যাওয়ার করুণ কাহিনি শুনে এবং তার মহৎ কর্মের কথা জেনে ডাকাতি পেশা পরিত্যাগে আকাঙ্ক্ষী ডাকাত পরিবর্তন করে নিজের মত। সেই আনন্দে গানের আয়োজন করা হয়। নর্তকীরা মঞ্চে এসে ডাকাত সরদারকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠে নৃত্যগীতে—‘তুমি যে ডাকাত তুমি চোর/ চুরি করেছ হৃদয় মোর।’
নৃত্যগীতের পরই ডাকাত সরদার শুনতে পায়, তাদের জঙ্গলে শিকারে আসছে বাদশা একাব্বর। বাদশার আগমনের সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে ওঠে ডাকাত সরদারের মধ্যে। প্রতিশোধ নেওয়ার মানসে অন্য ডাকাতদের নিয়ে ঝোপের আড়ালে গিয়ে অপেক্ষা করার কথা বলে মঞ্চ থেকে প্রস্থান করে সে।
এরপর তির-ধনুক নিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করে একাব্বর বাদশা। বাদ্যধ্বনির ভেতরে মঞ্চের বিভিন্ন কোণে গিয়ে শিকারকে তাক করে তির ছোড়ার অভিনয় করে সে। এদিকে সুযোগ বুঝে অট্টহাসিতে মঞ্চ কাঁপিয়ে তাকে ঘিরে ধরল ডাকাত দল।
ডাকাত সরদার: হি হি হি হা হা হা। এই কালুয়া, ধর বাদশাকে।
একাব্বর বাদশা: আমাকে বাঁচাও!
ডাকাতদের অট্টহাসি আর একাব্বর বাদশার চিৎকারের মধ্যে আকস্মিকভাবে লাফ দিয়ে বাঁশের একটি রঙিন লাঠি হাতে মঞ্চে প্রবেশ করল আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র—জঙ্গলরাজ। শুধু তা-ই নয়, ডাকাতদের পরিচয় পেয়ে তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলল সে। তবে ডাকাত দল তো এত সহজে পিছু হটার পাত্র নয়। ফলে একা তিন ডাকাতের সঙ্গে লড়াই করে তাদের প্রতিহত করল জঙ্গলরাজ। এতে যা হলো—রক্ষা পেল একাব্বর বাদশা। এক্ষণে কৃতজ্ঞতাবশত নিজের গায়ের জরির অলঙ্কিত পোশাক এবং তাকে বহন করা উড়িয়াবাজ ঘোড়া জঙ্গলরাজকে উপহার দিল সে। বিধির পরিহাসের মতো রূপবান যাত্রাপালার এই জঙ্গলরাজই পরবর্তীকালে হয় বারো দিনের ছেলে রহিম ও বারো বছরের মেয়ে রূপবানের আশ্রয়াদাতা—পালিত পিতা।
রূপবান যাত্রাপালার এই আখ্যানে আশ্চর্যভাবে একাব্বর বাদশাকে বনে নেওয়া; এর সমান্তরালে একটি ডাকাতের কাহিনি সৃষ্টি এবং সেই ডাকাতের হাত থেকে একাব্বর বাদশাকে রক্ষার কীর্তিতে জঙ্গলরাজের জরির পোশাক ও উড়িয়াবাজ ঘোড়া প্রাপ্তির এই সূত্রটি পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে একাব্বরের সন্তান রহিমের জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া জঙ্গলরাজ নামে বনবাসী মানুষের ‘আশ্রয়’ যে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক একাব্বর বাদশার জীবনরক্ষার নিয়ামক হয়ে থাকে তা নয়; সেটি বরং বারো দিনের শিশু স্বামীকে নিয়ে বনবাসে যাওয়া বারো বছরের রূপবানের জীবনেও অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। প্রতীকী কাহিনির মোড়কে রূপবান-এর আখ্যান তাই উচ্চতর সামাজিক মানুষের বন-প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার বার্তা দিয়ে যায়। আবার মানবজীবনে লৈঙ্গিক পরিচয় দিয়ে বিভক্ত নর-নারীর জীবনের নানা স্তর উপলব্ধির জন্যও হয়তো রূপবান আখ্যানের ভিন্ন আরেকটি মর্ম গ্রামীণ মানুষের মনোজগতের মধ্যে সুপ্ত রয়েছে। তাই রূপবান-এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা গ্রামাঞ্চল থেকে এখনো লুপ্ত হয়ে যায়নি।
আশ্চর্য হই এই ভেবে যে সারা রাতের যাত্রার আসরটি ‘যাত্রা’ হিসেবে নয়, আমরা দেখলাম ‘নাটক’ হিসেবে। কেননা, যাত্রা পরিবেশনের অনুমোদন শিল্পী বা আয়োজকদের দেওয়া হয় না। তাই প্যান্ডেলবিহীন আসরে, ‘নাটক’ হিসেবেই অভিনয় করতে হয় তাঁদের। শিল্পীরা জানান, খোলা আসরে এভাবে ‘নাটক’-এর নামে যাত্রাভিনয়ে তাঁরা পেশাগত জীবনে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঐতিহ্য রক্ষার কর্তব্য থেকে সরে যাননি। এর মূল্যায়ন তাঁরা কি পাবেন কখনো?
সারা রাত অসামান্য অভিনয়ের পর রূপবান-এর নায়িকা ফরিদা পারভীন বলেন, ‘কেউ না বুঝুক, আমরা তো বুঝি—সংস্কৃতি না থাকলে মানুষ ঠিক থাকতে পারবে না, সমাজে মানবিকতা থাকবে না।’