দুইদিকে দুই পা মেলে বসে আছি তো
গ্লোবের উত্তর ছাদে,
সাংহাইয়ে রাখা এক পা
অন্যটি গিয়ে ছুঁয়েছে দূর মানাগুয়া।
টেবিলের গ্লোবে নিশ্চল পোকাটি
মাছি উড়ে আসে, পিপীলিকা ওঠে বেয়ে,
নিচে তিনভাগ জল রক্তলাল
একভাগে সন্ধ্যা নামছেই প্রলয়ের ধুনে
দৈত্যবাহিনী মাল টেনে দ্যাখো কী টাল।
কত দিন ধরে বসে থাকা এ রকম
স্বপ্ন ছিল উড়ন্ত পর্বততুষারের অভ্রে
দৈব স্নান থামবে না,
স্বপ্নেরা শেষ হয়ে যায় মরীচিকায়
জানালা থেকে বাড়ানো কচি কচি হাত
পুড়ছে মাটির গ্লোবে।
আমার মুখে চোখে ত্বকে ধূলিকণারা
এ কোন বিনাশী তুফান-তাণ্ডব,
কেউ কি আছ মঙ্গলে, নেপচুনে
আছ নাকি নীল অবতার, যারা কাঁদে!