বাবার ইচ্ছাপূরণ

আমার বাবা খুব বন্ধুসুলভ। আশপাশের সব মানুষই বাবার পরিচিত। বাবা গাছ খুব ভালোবাসে। ছুটির দিনে বাবা গাছে পানি দেয়, যত্ন করে।

একটা রজনীগন্ধা ফুলের গাছ লাগানোর ইচ্ছা বাবার অনেক দিনের। রজনীগন্ধা বাবার প্রিয় ফুল। কোথাও রজনীগন্ধা ফুল দেখলেই বাবার চোখ আর সরে না। ভাবছি আমি বাবাকে রজনীগন্ধা ফুলের গাছ উপহার দেব। কিন্তু কীভাবে দেওয়া যায়? বাবার জন্মদিন ডিসেম্বর মাসে, কিন্তু এখন তো জুন মাস।

আইডিয়া! বাবা দিবস আর কিছুদিন পর। বাবা দিবসের উপহার হিসেবে রজনীগন্ধার চারা গাছ মন্দ হয় না। বেলা তিনটা, আমি আমার বন্ধু ইয়াসিরকে ফোন করলাম। তখন মা-বাবা দুজনই ঘুমাচ্ছিল। ফোনে ইয়াসির বলল, ‘হ্যালো।’ আমি বললাম, ‘ইয়াসির, বাবা দিবসের দিন বাবা আমাকে মেলায় নিয়ে যাবে, তুইও আমাদের সঙ্গে যাবি। যখন বাবা রেস্টুরেন্টে থাকবে, তখন তুই আর আমি টুক করে বেরিয়ে গিয়ে...।’ ব্যস, প্ল্যানটা করে ফেললাম।

বাবা দিবসের দিন বাবা আমাকে আর ইয়াসিরকে মেলায় নিয়ে গেল। যখন আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছি, তখন বাবাকে বলে আমরা দুজন বাইরে গেলাম। আমি আর ইয়াসির পাশেই একটা নার্সারিতে গেলাম। বললাম, ‘আংকেল, একটা রজনীগন্ধার চারা দিন তো।’ তারপর সেটা কিনে গোপনে রাখলাম। বাসায় ফেরার পরই বাবাকে দেখিয়ে বললাম, ‘দেখো, তোমার প্রিয় জিনিস এনেছি।’ দেখে বাবা খুব খুশি হলো।

চতুর্থ শ্রেণি, রংপুর জিলা স্কুল