ইমরোজ মিয়া নিমগাছে উঠে ঝিম মেরে বসে থাকতেন
শানবাঁধা ঘাটে পান খেয়ে বসে গান গেয়ে ছবি আঁকতেন
আম খেতে খেতে ঘাম ধরে এলে বাম দিকে ঝুঁকে হাঁটতেন
দই দিয়ে মেখে খই খেয়ে তিনি ওই থালাটাই চাটতেন।
শীতকালে পরে পীতরঙ শাল চিত হয়ে শুয়ে হাসতেন
তোলপাড় করে ঢোল সহরতে বোল সাধা ভালোবাসতেন
গনগনে রোদে ডন দিয়ে ফের হন্টনে দ্রুত ছুটতেন
তেল মেখে গায়ে খেল দেখাতেও বেলগাছে গিয়ে উঠতেন।
গুড় খেয়ে তিনি দূর মাঠে গিয়ে ফুরফুরে মনে ঘুরতেন
গপগপ করে চপ খেতে খেতে স্বপ্নের মেঘে উড়তেন
ভাত খেতে গিয়ে সাতবার গুনে হাত নেড়ে কথা বলতেন
টাক মাথাওলা লাখপতিদের ঝাঁক থেকে সরে চলতেন।
চাল কুটে নিজে তালরস মেখে ঝাল পিঠা শখে গড়তেন
বুধবার এলে দুধকলা খেয়ে বুঁদ হয়ে বই পড়তেন
পাইকারি দরে ছাই কিনে তিনি তা-ই ফেরি করে বেচতেন
ঘোর খরাদিনে পড়শির খেতে জোর করে জল সেচতেন।
কুলগাছে উঠে হুলওলা ভিমরুল হাতে নিয়ে খেলতেন
কাজ মনে করে মাঝরাতে জেগে বাজপাখি ধরে ফেলতেন
মাঘ মাসে খুব রাগ করে বুনোবাঘ সেজে হাঁক ছাড়তেন
তুঁতগাছ থেকে ভূত ধরে এনে টুথপিক দিয়ে মারতেন।
এই লোকটার যে-ই দেখা পাও, সে-ই হেসে হাত ধরবে
অন্তত তাকে মন থেকে যেচে কনগ্রেচুলেট করবে।