'তোমার আত্মার ক্রন্দন, রক্তের আকুতি কোন পথের অভিসারী, নিশ্চিতভাবে জেনে নাও'

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পরিচয় একাধিক—লেখক, সংগঠক, সম্পাদক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্বসহ আরও অনেক কিছু। এই আলাপনে তিনি বলেছেন স্বপ্ন ও সংগঠন প্রসঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আতাউর রহমান

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ছবি: সুমন ইউসুফ
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ছবি: সুমন ইউসুফ

আতাউর রহমান: আপনি প্রায়ই বলেন, কিছু পেতে হলে তার জন্য কিছু দিতে হয়, জীবন উৎসর্গ করতে হয়। কেন বলেন কথাটি?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: বড় কিছু পেতে হলে আমাদের যে কিছু দিতে হবে—এ তো নতুন কথা নয়। কিন্তু তা নিগ্রহ বা কষ্টের মধ্য দিয়ে দিলে হবে না, দিতে হবে জীবনের সুপ্রচুর উদ্‌যাপনের ভেতর দিয়ে। সব কাজ সবার কাছে সমান আনন্দ নিয়ে আসে না। অথচ আনন্দ না থাকলে সাধনা শুকিয়ে যায়। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব সুন্দর একটা কথা আছে—‘মানুষ কি ভেরেন্ডাগাছ খেতে পারে? পারে না; কিন্তু আখগাছ খেতে পারে। কেন? খেতে পারে এর ভেতরকার মাধুর্যের জন্য। এর ভেতর মিষ্টি রস আছে বলে।’ জীবনও তা-ই। এর পরিপক্ব ফলটি পেতে হলে এর ভেতরকার মাধুর্যটি আস্বাদন করতে হয়। না হলে এ হয়ে যায় খরখরে কাঠের মতো।

তাই জীবন উৎসর্গ করা মানে ভয়ংকর চেহারা নিয়ে দুরূহ শপথে জীবনকে শ্বাসরুদ্ধ করা নয়। উৎসর্গের আসল অর্থ আনন্দ। উৎসর্গ মানে উদ্‌যাপন। সর্বোচ্চ আনন্দ আর উদ্দীপনার আলোয় বিচ্ছুরিত হওয়া। তবে কর্মদানব আর কর্মবীর কিন্তু এক কথা নয়। কর্মদানব নিজেকে জবাই করে জীবনকে পায়, আর কর্মবীর পায় জীবনকে বিকশিত করে। ওটাই প্রকৃত উৎসর্গ। এ উৎসর্গ শ্রেয়তর জীবনের জন্য।

আতাউর: তাহলে কাজকে উপভোগ ও উদ্‌যাপন করতে হলে কী করতে হবে আমাদের?

সায়ীদ: নিজের হৃদয়কে অনুসরণ করো। হৃদয় কী খোঁজে, কী চায়—বুঝতে চেষ্টা করো। তোমার আত্মার ক্রন্দন, রক্তের আকুতি কোন পথের অভিসারী, নিশ্চিতভাবে জেনে নাও। মনে রেখো, তোমার ইচ্ছা কিন্তু তোমার ক্রীতদাস নয়, তারও একটা সার্বভৌম সত্তা আছে। তারও আছে আলাদা জগৎ, আলাদা আকাঙ্ক্ষা। তার সার্বভৌমত্বকে সম্মান করো। সে যেদিকে যেতে চায়, সেদিকে যেতে দাও। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আমরা আমাদের লোভের জাঁতাকলের নিচে হৃদয়ের ওই চাওয়াগুলোকে নিষ্পেষিত করি। ওর স্বাধীন ইচ্ছার দিকে একেবারেই তাকিয়ে দেখি না।

টাকার জোরে কি আনন্দ কেনা যায়? তখন ওটা হয়ে যায় একটা নিখাদ নিগ্রহের নাম। তখন রগ ফুলে ওঠে, পেশি কদাকার হয়, চেহারাটা আস্তে আস্তে করাল দৈত্যের মতো হয়ে দাঁড়ায়। মুক্তির জন্য চেষ্টা করেও একটা অভিশপ্ত জীবনের মধ্যে আমাদের শেষ হতে হয়।

আতাউর: এই প্রেরণা মানুষ কোথা থেকে পায়?

সায়ীদ: মানুষ নিজে তার সবচেয়ে কাছের। তাই নিজেকে সাধারণত সে সবচেয়ে বেশি চেনে। তারপর চেনে কাছের মানুষদের। নিজের মতো না হলেও এদের দুঃখ-কষ্টও কিন্তু আমাদেরই দুঃখ-কষ্ট। তাই নিজের দুঃখ-কষ্টকে কমিয়ে আনার জন্য আমরা যেভাবে চেষ্টা করি, অন্যের জন্যও একইভাবে, বরং কখনো এর চাইতেও বেশি চেষ্টা করি। কারও কারও কাছে এই ‘অন্যের’ ধারণাটা অনেক বেশি ছড়ানো। অনেক সময় বলা হয়, অমুকে অন্যের জন্য এত করল কিন্তু নিজের ছেলেমেয়ে আর পরিবারের জন্য কিছুই করল না। এটা বলার একটাই কারণ, সাধারণভাবে মানুষ নিজের সন্তানকেই শুধু সন্তান বলে মনে করে। আর ওই মানুষটি চারপাশের সবার সন্তানকে নিজের সন্তান মনে করে। তাই কেবল নিজের সন্তানের না, সবার সন্তানের জন্য সে কাজ করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গড়পড়তা মানুষ তার এই আচরণকে উদ্ভট বলে মনে করে। তাদের মাথায় আসে না অন্যের সন্তান আবার কী করে নিজের সন্তান হয়। জৈবিকতার বাইরের আত্মিক সন্তানকে তারা চেনে না।

এতে লাভটা হলো, অন্যের সন্তানকে যখন কেউ নিজের সন্তান বলে ভাবতে পারে, পৃথিবীর সব মানুষকে ‘আমি’ হিসেবে ভাবতে পারে, তখন তাদের দুঃখ কমানোর জন্য তার মধ্যে একটা প্রণোদনা তৈরি হয়। অন্যের জন্য কাজ করে বলে নিজের দুঃখ-কষ্টকে সে ভুলে থাকার সুযোগ পায়।

আতাউর: সংঘ বা সংগঠন এ ক্ষেত্রে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?

সায়ীদ: এর কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা বা ছক নেই। এ একেবারেই হৃদয়ের ডাক। ডাক এলে কিংবা জাতির প্রতিটা প্রাণের ভেতর ডাকটা স্পন্দিত হতে শুরু করলে দেখা যাবে, ভেতরে চাপা পড়া স্বার্থলোভ-আবিল মানুষটা আবার নতুন জীবনস্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে, মানুষের দুঃখের পাশে অবস্থান নিয়েছে। আজ আমাদের শুধু দরকার অতি জরুরি সেই আহ্বানটি। আমি জানি, আজও যদি কোনো জাতীয় প্রয়োজন সামনে এসে দাঁড়ায়, তাহলে স্বার্থান্ধতার শিকার মানুষদের মধ্য থেকেই আবার নতুন মানুষ জেগে উঠবে। মানুষের মধ্যে আছে নিজের কাছেও অজ্ঞাত আরেক বিস্ময়কর মানুষ। এর জন্যই মানুষের পৃথিবী আজও মরেনি।

আতাউর: অর্থাৎ সংঘ আয়োজনটা করে দিতে পারে?

সায়ীদ: মানুষ যখন জাগে, তখন সংঘ তাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু প্রথম আহ্বানটা করতে হয় একজন ব্যক্তিকেই, যে স্বপ্ন দেখতে পারে, দেখাতে পারে। আর সংগঠন হচ্ছে একটা কর্মপদ্ধতি, যার মধ্যে একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া ও কাঠামো আছে, যার ভেতর দিয়ে এ জাগরণকে স্থায়ী ও বাস্তব রূপ দেওয়া সম্ভব হয়। ফলে স্বপ্নটা অনেক বেশি শক্তি ও গতি নিয়ে এগিয়ে যায়। এই কাঠামো আর কর্মপদ্ধতিটা যদি সে না পায়, তাহলে ব্যক্তিমানুষের সমস্ত আহ্বান ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশ মূলত এই কাঠামো ও সংগঠন এবং নেতৃত্বের অভাবেই ধীরে ধীরে একটা নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থার দিকে চলে গেছে।

আতাউর: আপনি একবার বলেছিলেন, উন্নত প্রজাতির হাঁস-মুরগি, গবাদিপশুর পেছনে সারা জীবন লেগে থাকতে হয়। কিন্তু মানুষের জন্য দরকার এক মুহূর্তের ছোট্ট একটা ‘স্পার্ক’ বা প্রজ্বলন। একবার জ্বলে উঠতে পারলেই হলো, তারপর সে নিজেই নিজের বিকাশের দিকে এগোতে পারে। এই স্ফুরণটা কি কোনোভাবে সংঘের মধ্যে দিয়ে আসতে পারে?

সায়ীদ: অনেক সময় দেখা যায়, কোনো বিশেষ আকুতিতে একজন মানুষের হৃদয় জেগে উঠছে, কিন্তু সে জ্বলে ওঠার পথ খুঁজে পাচ্ছে না। ওই জেগে ওঠাই হলো মানুষদের সুশৃঙ্খল, সংহত ও সংঘবদ্ধ করে ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। যাঁরা ওই ডাকটা দেন, অনেক সময় তাঁরা নিজেরাই সংগঠন গড়ে দিয়ে যান। আবার এমনও দেখা যায়, তাঁরা ডাক দিয়ে হারিয়ে গেছেন, সংগঠন সেই আহ্বান অনুসরণ করে গড়ে উঠছে। ইসলাম ধর্মে আমরা দেখি, যিনি ডাক দিয়েছেন, তিনিই সংঘ গড়ে তুলেছেন, বৌদ্ধধর্মেও অনেকটা তা-ই। কিন্তু খ্রিষ্টধর্মে আবার তা হয়নি, যিনি ডাক দিয়েছেন, তাঁকে অনেক আগেই চলে যেতে হয়েছে। সংঘ গড়ে উঠেছে পরে। অর্থাৎ আগে একজন মানুষ এবং তাঁর আহ্বান, পরে সংঘ। সংঘের জন্য চাই প্রেরণা। এই প্রেরণা থেকে যে জাগরণটা ঘটল, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জন্ম সংগঠনের।

আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে। মানুষের তৈরি কোনো কিছুই মানুষের চেয়ে বড় নয়। মানুষ নিজে বাঁচে না। তবে রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’র মতো মৃত্যুহীন সোনার ধান সে পৃথিবীতে রেখে যেতে পারে। আজকের ডিজিটাল পৃথিবী মানুষের শক্তিকে অন্তত এক হাজার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ তো মানুষেরই তৈরি। সে জন্য নিজের সৃষ্ট ফ্রাংকেনস্টাইন বা দানবের চেয়েও সে বড়। নিজের অসহায় অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে সে ওই বৈরী ফ্রাংকেনস্টাইনকে ধ্বংস করে আরও শক্তিশালী ও অনুকূল ফ্রাংকেনস্টাইন তৈরি করতে চায়। ভুল হচ্ছে সেই জিনিস, যা দিয়ে মানুষ নিজেকে অতিক্রম করে। এই ভুল আছে বলেই মানুষ একদিকে যেমন অপ্রতিভ, তেমনি তার মধ্যে আছে ছাড়িয়ে যাওয়ার বন্যতা। একটা যন্ত্রের কি সে ক্ষমতা আছে? ভুল করা, ব্যর্থ হওয়া, হেরে যাওয়া—এসব কোনো খারাপ জিনিস নয়। বরং এসব আছে বলেই মানুষ যন্ত্রের ওপরে। ভুল আর পতনের দুর্ভাগ্য আছে বলেই না সে পতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়, ভুলকে জয় করতে চায়। কারও ভুল নেই মানে তার উত্তরণ নেই। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেরণা নেই।

আতাউর: জাতির জন্য এ যুগটা হচ্ছে সংগঠনের যুগ—আপনার কথা এটা। একটা জাতির উত্থানের পেছনে সংগঠনের ভূমিকা কতটা?

সায়ীদ: সংগঠন একটা জাতির সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ। এর সংখ্যা যত বেশি হবে, জাতির শিরদাঁড়াও তত শক্ত হবে। একটা জাতির সংগঠনগুলো মজবুত না হলে এর উচ্চতর অঙ্গনগুলো এলিয়ে পড়ে। তাই একটা জাতিকে বড় হতে হলে তার সংগঠনগুলোর সংখ্যা ও যোগ্যতার অন্তহীন বিকাশ ঘটিয়ে যেতে হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদেরও চাই আজ অজস্র সংগঠন, যার একটা কল্যাণধর্মী বিশ্বাস আছে, সুস্পষ্ট চেতনা আছে, সবকিছু মিলিয়ে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা আছে, যা সর্বোপরি অর্থপূর্ণ। কারণ, আধখেঁচড়া সংগঠন দিয়ে জাতি বড় হয় না। অবহেলায়, অনাদরে, কিছুটা শ্রমে, কিছুটা উদাসীনতায় এই যে অর্থহীন সব সংগঠন চারপাশে গড়ে উঠছে, ওসব দিয়ে আসলে কিছু হয় না শেষ পর্যন্ত। শুধু হতাশা বাড়ে। যে সংগঠনের পেছনে, অর্থাৎ অনেকের একত্র ও যূথবদ্ধ হওয়ার পেছনে একটা আগামীর অঙ্গীকার থাকে, যে সংগঠনের স্বপ্ন ও আদর্শের পেছনে মানুষের রক্ত থাকে, সে সংগঠনই একটা জাতির সম্পদ।

আতাউর: সংগঠন নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

সায়ীদ: যেহেতু সংগঠন তৈরির কোনো রকম যোগ্যতা ছাড়া আমি তা করতে গিয়েছিলাম, তাই বহু জায়গায় জিব পুড়িয়ে যেমন এগোতে হয়েছে, তেমনি শিখেছিও অনেক। আমার মনে হয়েছে, আমাদের যুগ সংগঠনের জন্য বেশ অনুকূল। একটা রাষ্ট্র ধীরে ধীরে সংহত হচ্ছে। এই মুহূর্তে অজস্র যোগ্য সংগঠন জন্ম না নিলে চলবে কেন? একটা জাতির সবচেয়ে বড় সংগঠন রাষ্ট্র। কিন্তু এই সংগঠনটি যদি কোনো কারণে দুর্বল থেকে যায়, তাহলে অন্যান্য সংগঠনও কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ এই জাতির মধ্যে একটা বিশাল উদ্যম কাজ করছে, অজস্র সংগঠন বানিয়ে মানুষ একটা বড় জাতি তৈরি করতে চাচ্ছে। এই সময় রাষ্ট্র যদি শুধু জনগণের পাশে থাকত, তাহলে আমরা অনেক শক্তিমান জাতিকেও ছাড়িয়ে যেতাম। আমি মনে করি, আজ হোক কাল হোক, এটা ঘটবেই। কারণ, জাতির সমস্ত সংগঠন ভালো চললে রাষ্ট্র এমনিতেই শক্ত হয়ে ওঠে। আজ নানা দুর্গতির মধ্য দিয়ে আমাদের অনেক আশাবাদ হয়তো কিছুটা হোঁচট খাচ্ছে। কিন্তু তার মানে এ নয় যে সব শেষ হয়ে গেছে। বরং তার মানে এই—জাতিগতভাবে একটা উন্নততর অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য আমাদের সংগ্রাম ও আত্মোৎসর্গকে আরও কঠোরতর হওয়ার ডাক এসেছে। আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। অন্ধকার সময়েই তো আলোর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এমনি দুর্দিনের ভেতর দিয়েই তো জাতি যোগ্যতর হয়।

নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটা কৌতুক আছে। হোজ্জাকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, চাঁদ আমাদের বেশি উপকার করে, নাকি সূর্য? হোজ্জা বলেছিলেন, চাঁদ। প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, সূর্য আমাদের আলো দেয় যখন আলো থাকে তখন, কিন্তু চাঁদ আমাদের আলো দেয় যখন আলো থাকে না তখন। তাই চাঁদই উত্তম।

গল্পটা হয়তো হাসির। কিন্তু এর ভেতরের কথাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হলো আলোর মুহূর্তে আমাদের সংগ্রাম অতটা শক্তিশালী না হলেও চলে, কিন্তু অন্ধকার সময়ে তাকে কঠিনতর হতেই হয়। পথ কুসুমাস্তীর্ণ হলে আমরা হয়তো যোগ্য হব, কিন্তু দুঃখ-কণ্টকাকীর্ণ হলে আমরা উৎকৃষ্ট হব। আজকের এমন শূন্যতার ভেতর দিয়ে আমরা কিন্তু ধীরে ধীরে সে জায়গাতেই যাচ্ছি। যে সোনার বাংলাকে আমরা আলসেমি আর হেলাফেলা করে পেয়ে যাব ভেবেছিলাম, ওটা পেতে আমাদের যে আরও স্বেদ, শ্রম আর রক্ত দিতে হবে—এই চেতনা আমাদের একটা উচ্চতর অর্জন। ব্যাপারটা কি আনন্দের নয়? এত রক্ত ও অশ্রুর মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সোনার বাংলা এতে নিশ্চয়ই আরও বিশুদ্ধ আর খাঁটি হবে।