গোয়েন্দা গোয়েন্দা খেলা!

>তুমি কি গোয়েন্দা গল্পের ভক্ত? আর্থার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কিংবা রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দায় বুঁদ হয়ে থাকো? বন্ধুদের নিয়ে কিন্তু মাঝেমধ্যে গোয়েন্দা গোয়েন্দা খেলতে পারো। কীভাবে? চলো, কিছু বুদ্ধি বাতলে দিই।
অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

গুপ্তধনের খোঁজ

এই খেলাটা খুব সহজ। চাইলে দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলা যায়। এক দল একটা কিছু লুকিয়ে রাখবে, অন্য দলের কাজ হলো জিনিসটা খুঁজে বের করা। খুঁজে বের করার সুবিধার্থে কিছু সূত্র অবশ্য সাজাতে হবে। ধরো, ঘরের পাঁচটা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তুমি পাঁচটা ছোট্ট চিরকুটে পাঁচটা সূত্র লিখে রাখলে। সব কটি সূত্র এক করতে পারলেই পাওয়া যাবে সেই ‘গুপ্তধন’! সত্যি সত্যি গুপ্তধন হতে হবে, তা তো নয়। এটা তো গোয়েন্দা গোয়েন্দা খেলা! চাইলে একটা টুথব্রাশ, একটা চিরুনি কিংবা একটা ভাঙা পেনসিলকেও তুমি গুপ্তধন বানাতে পারো।
যেমন ধরো, খাবার টেবিলের ওপর একটা কাগজ রাখলে তুমি। সেখানে লেখা আছে, ‘ঘুমিয়ে পড়ো না চোখ বুজে, বালিশের নিচে দেখো খুঁজে।’
বালিশের নিচে আরেকটা কাগজ। তাতে লেখা, ‘দেখো তুমি উঁকি দিয়ে ফ্রিজে, সেখানে লুকানো আছে কী যে!’
ফ্রিজের ভেতর আরেক টুকরো কাগজ। সেখানে লেখা, ‘সাহস থাকে যদি বুকে, টেবিলের নিচে দেখো ঝুঁকে।’ টেবিলের নিচে থাকবে আরেকটা সূত্র।
এভাবে অনেক সূত্র এক করে লুকানো গুপ্তধনটা খুঁজে বের করাই হবে গোয়েন্দার কাজ।

কার হাতের ছাপ!
এই খেলার জন্য বেশ কয়েকজন দরকার। চাইলে স্কুলের বন্ধুরা মিলেও খেলতে পারো। প্রথমে কয়েকটা সাদা কাগজ আর রং জোগাড় করো। সবাই একটা করে কাগজ নাও। এবার হাতে রং মেখে (সাবধান, জামায় যেন রং না লাগে, তাহলে কিন্তু বকুনি খেতে হবে!) কাগজের ওপর হাতের ছাপ ফেলো। সব কটি কাগজ একসঙ্গে করে একেকজনের হাতে একেকটা কাগজ তুলে দাও। যার হাতে যে কাগজ পড়বে, সেই কাগজের হাতের ছাপটা যার, তাকে খুঁজে বের করাই হলো চ্যালেঞ্জ। হাতের ছাপ ধরে মানুষটাকে খুঁজে বের করা তো গোয়ান্দারই কাজ, নয় কী!

সাংকেতিক ভাষা
কতিকেংসা য়ষাভা খালে টাকএ রছুকি নেমা রবে ইরাক লোহ ইএ রলাখে জাম!
ওপরের বাক্যটা পড়ে ঘাবড়ে গেলে নাকি? ভাবছ কী সব আবোলতাবোল লিখেছি। বাক্যটার প্রতিটা শব্দ উল্টো করে পড়ে দেখো, লেখা আছে—সাংকেতিক ভাষায় লেখা একটা কিছুর মানে বের করাই হলো এই খেলার মজা! হ্যাঁ, সেটাই। এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে সাংকেতিক ভাষায় চিঠি লেখো আর সেটার অর্থ খুঁজে বের করো। অদ্ভুত অদ্ভুত ভাষা নাহয় তুমি নিজেই আবিষ্কার করো। এটাই হলো খেলা!