পুঁচকে গল্প

গল্প যে দুই-চার লাইনেরও হতে পারে এমনটা কখনো ভেবেছ? বড় লেখকেরাও কিন্তু এমন ছোট ছোট গল্প লিখেছেন। বিদেশি গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তেমনই কয়েকটা পুঁচকে গল্প শোনাচ্ছেন মো. সাইফুল্লাহ

এক ছিল ডাইনোসর। নাম তুলুপুমুলুপু। আহা রে, তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই বেচারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

একটা খরগোশ সারা দিন চকলেট খেত। একদিন তার প্রচণ্ড পেটব্যথা হলো। এরপর থেকে খরগোশেরা কেবল ঘাস আর গাজর খায়।

ঠক ঠক!

‘কেউ আছেন? দরজাটা খুলুন।’ মাঝরাতে আলমারির ভেতর থেকে কে যেন বলল।

লুসি আর ডেইজি দুই বন্ধু একদিন এত জোরে লাফ দিল যে চাঁদে পৌঁছে গেল। হঠাৎ মনে পড়ল, ‘আরে, হোমওয়ার্ক তো করা হয়নি!’ তাই তারা ফিরে এল।

ঝুপ করে বৃষ্টি নামল। যাদের পকেটে টাকা ছিল, তারা ছাউনির দিকে ছুটল। যাদের পকেটে পয়সা ছিল, তারা ছুটল বৃষ্টির দিকে।

বাঘটা বলল ‘হালুম’। খোকা বলল, ‘হালুম নারে বোকা, হ্যালো বলতে হয়!’

ছোট্ট ভূতটার মা তাকে বলল, ‘জলদি খেতে আয়, নইলে কিন্তু মানুষ আসবে!’

উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল একটা প্রজাপতি। তাই একদিন সে একটা উড়োজাহাজে চড়ে বসল।

‘উফ! মানুষের যন্ত্রণায় এ বাড়িতে আর থাকা যাবে না।’ বলল একটা তেলাপোকা।

দিগন্তজোড়া মাঠের ওপর টগবগ টগবগ করে ঘোড়া ছুটিয়ে যাচ্ছিল রাজপুত্র। এমন সময় মা বললেন, ‘খোকা, বিছানার ওপর বালিশটা রেখে খেতে আয়।’