গজল
গ্লাসের ভেতরে বরফ বকুলে
গুমরে উঠেছে শীতরাত।
সরল বৈঠার ওই হাওর-মাঝিকেও
জাপটে ধরেছে সংসার উনুন। ধান তলানোর কান্না।
পেঁপেগাছের আদরে যথেষ্ট কান্নার পর
পুনরায় কাটা হলে খেজুরগাছের গলা
সামাজিক দাস আমি গজল লিখেছি।
সোমেশ্বরীর এ চরাঞ্চলে পীর-ফকিরের উতার পানিতে
নিজের বিধির খোঁজে ঘন সূর্যের বাহুতে ঢুকে গেছে রাজহাঁস।
লুকানো টুপির নিচে একটা শালিক ক্ষত ও বিদ্রূপ লেখে।
চোয়ালে ডাবানো নখ আর লাল তলোয়ার
অতিক্রমণের পর পাহাড় গড়ানো মুখগুলো
গোলাকার ফুলকপি হয়ে নিজের বিধিকে খোঁজে।