অসম্ভব মানচিত্র

মানচিত্র নিয়ে হোর্হে লুইস বোর্হেসের ক্ষুদ্র গল্পের প্রভাব সুদূরপ্রসারী
মানচিত্র নিয়ে হোর্হে লুইস বোর্হেসের ক্ষুদ্র গল্পের প্রভাব সুদূরপ্রসারী

কথা ঠিক। মানচিত্র তৈরি মানেই কিছু জিনিস বেছে নিয়ে কিছু জিনিস ফেলে দেওয়া। কারণ আপনি একটা বর্তুলাকার জিনিসকে একটা সমতল পৃষ্ঠার ওপর সাজিয়ে দেখাচ্ছেন। তা করতে গিয়ে নানান কিছু বিকৃত করতে হচ্ছে আপনাকে।

সেদিক থেকে দেখলে মানচিত্র তৈরির সঙ্গে কবিতা অনুবাদ করার অনেক মিল পাওয়া যাবে। কবিতা অনুবাদ মানেই হলো এক ভাষার তল থেকে অর্থকে অন্য একটি ভাষার তলে স্থাপন করা। তা করতে গিয়ে মানচিত্রের প্রক্ষেপণের মতোই সংকটে পড়েন অনুবাদক। সবকিছু অক্ষত রেখে কবিতাকে কখনোই ভাষান্তর করা যায় না। একটা ভাষার এমন কিছু অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য থাকে, যেগুলো ঠিক অনুবাদযোগ্য নয়। তা ছাড়া উপমা-উৎপ্রেক্ষাগুলো ঠিক রাখবেন, নাকি ছন্দ ঠিক রাখবেন—এই ধন্দে পড়তে হয় অনুবাদককে। অনুবাদ কবিতা সে কারণে মূল কবিতার একটা অপভ্রংশ মাত্র।

মানচিত্রও একধরনের বিকৃত রিপ্রেজেন্টেশন।

পৃথিবীর যে মানচিত্রটা এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়, যেটা অফিস-আদালতে টাঙানো থাকে এবং স্কুল-কলেজে পড়ানো হয়, সেটা আসলে পৃথিবীর অনেকগুলো বিকল্প মানচিত্রের একটা। অন্য মানচিত্রগুলোকে হটিয়ে চার শ বছর ধরে এটা এমনভাবে চালু হয়ে গেছে যে পৃথিবীর ভূখণ্ডগুলোর সত্যিকার চেহারা হিসেবে এটাই আমাদের কল্পনায় স্থায়ী আসন গেড়েছে। কার্টোগ্রাফি বা মানচিত্রবিদ্যায় পৃথিবীর এই মানচিত্রটিকে বলে মার্কাটরস প্রজেকশন। বাংলায় বলা যায় মার্কাটরের প্রক্ষেপ। ফ্লেমিশ মানচিত্রবিশারদ জেরারদুস মার্কাটর ১৫৬৯ সালে যখন এই মানচিত্রটি তৈরি করেন তখন এটার মূল লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর অক্ষাংশ আর দ্রাঘিমাংশের রেখাগুলোকে গ্রাফচিত্রের মতো সমকোণে পরস্পরছেদী সরলরেখা হিসেবে তুলে ধরা। মার্কাটর এটি তৈরি করেছিলেন ইউরোপীয় নাবিকদের সমুদ্রযাত্রার সুবিধার কথা চিন্তা করে। আর তা করতে গিয়ে তিনি ভূখণ্ডগুলোর আপেক্ষিক আয়তনকে বিকৃত করেছেন। বাণিজ্য আর উপনিবেশবাদী স্বার্থ চরিতার্থই এই বিকৃতির অভিমুখ ঠিক করে দিয়েছে। উত্তর গোলার্ধের ভূখণ্ডগুলো এখানে বড় করে দেখানো হয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধের ভূখণ্ডগুলোর চেয়ে। তা ছাড়া চীন ও ভারতকে ছোট দেখিয়ে ইউরোপকে আরেকটু বড় করে দেখানোর তাগিদের পেছনে ছিল প্রভু মনোভাবের তুষ্টিলাভ। মার্কাটরের এই মানচিত্র এ কারণেই অন্যগুলোকে টেক্কা দিয়েছে।

তাই বলে ভাববার কোনো কারণ নেই, মার্কাটরের মিথ্যাকে সরিয়ে সত্যতর কোনো মানচিত্র বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি মানচিত্রই কোনো না কোনো বিকৃতি ধারণ করে।

পিটার বারবারের কথামতো, বিকৃতিহীন সত্য মানচিত্র হতে হলে সেটাকে এক-অনুপাত-এক স্কেলের মানচিত্রই হতে হবে। কিন্তু সেই জিনিসটা কী? বাংলাদেশ ভূখণ্ডটির কথা ধরা যাক। এই ভূখণ্ডের এক-অনুপাত-এক মানচিত্র হবে হুবহু বাংলাদেশের সমান, যেখানে মানচিত্রের এক মাইল মানে হবে বাস্তবের এক মাইল। মানচিত্রবিদ্যার চোখে এটাই হবে বাংলাদেশর সবচেয়ে নিখুঁত ও আদর্শ মানচিত্র।

কথা হলো, সেই মানচিত্রটি আপনি রাখবেন কোথায়? মেলে ধরবেন কীভাবে? এ রকম একটি মানচিত্র কি আদৌ ব্যবহার করা সম্ভব?

দুনিয়ার সবচেয়ে নিখুঁত মানচিত্র তৈরি করলে কী কাণ্ড দাঁড়াবে, সেটা সবচেয়ে ভালোভাবে উঠে এসেছে আর্জেন্টাইন লেখক হোর্হে লুইস বোর্হেসের একটি গল্পে। গল্পের নাম ‘অন দ্য এক্সাটিচ্যুড ইন সায়েন্স’ বা ‘বিজ্ঞানের অভ্রান্ততা’। খুবই ক্ষুদ্র গল্প। এক অনুচ্ছেদের। শব্দসংখ্যা বড়জোর দেড় শ। বোর্হেসের দুর্নামের সর্বজনীন ইতিহাস (ইউনিভার্সাল হিস্ট্রি অব ইনফ্যামি) বইতে এই গল্প ঠাঁই পেয়েছে।

গল্পটিতে বোর্হেস এমন এক সাম্রাজ্যের কথা শুনিয়েছেন, যার মানচিত্রকরদের নিখুঁত মানচিত্র তৈরির পাগলামিতে পেয়ে বসেছিল। একপর্যায়ে তারা ওই সাম্রাজ্যের এমন মানচিত্র তৈরি করে ফেলে, যেটা হুবহু ওই সাম্রাজ্যটির সমান। কিন্তু এমন মানচিত্র কোনো কাজেই লাগেনি। পরবর্তী প্রজন্মের শাসকেরা এতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং মানচিত্রটি তাঁরা একটি মরুভূমিতে ফেলে রাখেন। সেখানে ধুলায় গড়াগড়ি খেয়ে, মানুষ আর গবাদি পশুর পায়ে-পায়ে শতচ্ছিন্ন হয়ে এখনো সেটি পড়ে আছে।

এই হলো গল্প। পড়লে মনে হয়, বোর্হেস তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক ঠাট্টা ছুড়ে দিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন। বোর্হেসের এই ঠাট্টা লুফে নিলেন ইতালিয়ান লেখক ও চিহ্নবিজ্ঞানী উমবের্তো একো। অতিক্ষুদ্র এই গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে বিরাট এক প্রবন্ধ ফেঁদে বসলেন তিনি। প্রবন্ধের নাম ‘এক-অনুপাত-এক স্কেলে একটি সাম্রাজ্যের মানচিত্র তৈরির অসম্ভাব্যতা’। একো বুঝে দেখার চেষ্টা করলেন, বোর্হেসের গল্পের ওই নিখুঁত মানচিত্র তৈরি করতে গেলে কী কী বাস্তব সমস্যা দেখা দেবে।

একোর মতে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে ও রকম একটি মানচিত্র রাখার জায়গা নিয়ে। প্রথম কথা হলো, সেটা অ্যাটলাসের বইয়ের মতো টুকরা টুকরা করে আলাদা আলাদা পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে রাখা যাবে না। দ্বিতীয় কথা হলো, ধরা যাক, সেটা ভাঁজ করে বা গুটিয়ে ছোট করে রাখা গেল। কিন্তু ব্যবহার করতে গেলে সেটা তো বিছিয়ে মেলে ধরতেই হবে। তখন ওটা বিছিয়ে ধরতে ওই মাপের আরেকটা রাজ্য লাগবে। একো বললেন, একটা কাজ করা যেতে পারে, আপনি আপনার রাজ্যের ওপরই মানচিত্রটা বিছিয়ে দিলেন চাদরের মতো। এমনভাবে বিছিয়ে রাখলেন, যাতে খাপে খাপে মিলে যায়। পাহাড়ের খাপে পাহাড়, নদীর খাপে নদী। অনেকটা প্লাস্টার কাস্টিংয়ের মতো।

কিন্তু তাতে একটা সমস্যা দেখা দেবে। মূল সাম্রাজ্যটা তখন আর দেখা যাবে না। দেখা যাবে কেবল মানচিত্রটাকে।

একো তখন বললেন, এক কাজ করা যাক, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খুঁটি পুঁতে মানচিত্রটা শামিয়ানার মতো টাঙিয়ে দেওয়া যাক। শর্ত হলো, মানচিত্রটা স্বচ্ছ হতে হবে, যাতে সূর্যের আলো রাজ্যটিতে পড়ে। সাম্রাজ্যের বাসিন্দাদের দৃষ্টিকোণ থেকে তখন আকাশটা হবে ভূমির প্রতিচ্ছবি। একবার তারা ভূমির দিকে তাকাবে, তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে নেবে ভূমির প্রতিরূপ ঠিক আছে কি না। চিহ্নবিজ্ঞানের দিক থেকে মানচিত্রটা তখন হয়ে দাঁড়াবে ওই রাজ্যের একটা চিহ্ন বা সাইন।

এবার দ্বিতীয় আরেকটি সমস্যা দেখা দেবে। মানচিত্রটি তখন আর নিচের ভূখণ্ডের নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না। কেন? কারণ ওই খুঁটিগুলোর কথা কল্পনা করুন। যে খুঁটিগুলো পুঁতে মানচিত্রের শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে, মানচিত্রে ওই খুঁটিগুলো কই? তা ছাড়া শামিয়ানাটাও তো এখন ভূখণ্ডেরই অংশ হয়ে গেছে। মানে মানচিত্রটা নিজেই তো এখন ওই রাজ্যের অংশ। তাহলে সেটারও একটা রিপ্রেজেন্টেশন দরকার। না হলে মানচিত্র নিখুঁত হবে না। তাহলে আমাদের আরেকটা মানচিত্র দরকার, যা শামিয়ানার মতো টাঙানো এই মানচিত্রসহ নিচের ভূখণ্ডটিকে রিপ্রেজেন্ট করবে। কিন্তু সেই দ্বিতীয় মানচিত্রটি রাখবেন কোথায়? সেটিকেও যদি একইভাবে খুঁটির ওপর দাঁড় করাতে হয়, তাহলে আমরা রিপ্রেজেন্টেশনের এক অনন্ত সিরিজের কূটাভাসে পড়ব।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই একই কূটাভাস বা প্যারাডক্সে পড়েছিলেন বারট্রান্ড রাসেল ও গটলব ফ্রেগে, যখন তাঁরা সেট থিওরি নিয়ে কাজ করছিলেন। রাসেল বললেন, এমন একটি গ্রাম কল্পনা করুন, যেখানে একজন নাপিত গ্রামের সেই সব লোকের দাড়ি কামিয়ে দেয়, যারা নিজেরা নিজেদের দাড়ি কামায় না। এখন কথা হলো, নাপিত নিজে নিজের দাড়ি কামায় কি না। উভয় সংকট।

একো আসলে বোর্হেসের তামাশাময় গল্পটিকে নিয়ে রগড় করতে বসেছিলেন। তবে ফরাসি দার্শনিক জাঁ বদ্রিয়া এই গল্পকে নিয়ে গেলেন গুরুগম্ভীর আলোচনার টেবিলে। সিমুলাক্রা এবং সিমুলেশন বইটা তিনি শুরুই করলেন বোর্হেসের এই ক্ষুদ্র গল্পটির প্রসঙ্গ দিয়ে। তিনি বললেন, মানুষের বুদ্ধির রাজ্যে রিপ্রেজেন্টেশনের প্রক্রিয়াটি ক্রমান্বয়ে উল্টে গেছে। মানচিত্র এখন আর কোনো ভূখণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং ভূখণ্ডই প্রতিনিধিত্ব করে মানচিত্রের। যেনবা আয়নার প্রতিবিম্বটিই মূল, মনুষ্যদেহ তার উপলক্ষ মাত্র। বোর্হেসের গল্পে মরুভূমির মধ্যে আসলে কোনো মানচিত্রের খণ্ডবিখণ্ড টুকরা পড়ে নেই, বরং সাম্রাজ্যটিই খণ্ডবিখণ্ড হয়ে আজ লুটিয়ে আছে মানচিত্রের ধুলায়। চিহ্নই কর্তা, জগৎ তার দাস।

কেউ খুব সতর্ক থাকলে বুঝে যাবেন, বোর্হেসের মানচিত্রের গল্পের প্লট ধীরে ধীরে চিহ্ন, প্রতীক আর প্রতিনিধিত্বের জটিল আবর্তে প্রবেশ করছে, যার কেন্দ্রে বসে আছে ভাষা। মানচিত্র আর ভূখণ্ডের মধ্যে সম্পর্কটি আসলে কী? ওই সম্পর্কের কাঠামোটি কি আসলে ভাষা এবং তার অর্থের সম্পর্কের কাঠামোরই প্রতিচ্ছবি নয়? এই আলাপটা শুরু করেছিলেন আলফ্রেড করজিবস্কি নামে এক মার্কিন দার্শনিক। তাঁর মূল কথা, ‘মানচিত্র কখনোই ভূখণ্ড নয়।’ করজিবস্কি বলেন, আধুনিক মানুষ বাস্তবতার মডেলগুলোকেই বাস্তবতা জ্ঞান করে চিন্তার জট পাকিয়ে ফেলেছে। ব্যাপারটা আরও জটিল করে তুললেন বেলজিয়ান পরাবাস্তববাদী শিল্পী রেনে ম্যাগ্রিত। ১৯২৮-২৯ সালে তিনি একটা তামাকের পাইপের ছবি এঁকে তার নিচে লিখে দিলেন, ‘দিস ইজ নট আ পাইপ’। ক্যানভাসে একটা জলজ্যান্ত পাইপ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু শিল্পী বলছেন এটা পাইপ নয়। ইয়ার্কি নাকি!

রেনে ম্যাগ্রিত বললেন, এটা পাইপ হতে যাবে কেন? আপনারা চাইলে কি এটার মধ্যে তামাক ভরে খাওয়া শুরু করতে পারবেন? কথা তো ঠিকই। সত্যিকার পাইপ আর তার ছবি তো এক জিনিস নয়। কিন্তু এ দুটি তো আবার বিযুক্তও নয়। তাহলে তাদের মধ্যে সম্পর্কসূত্রটি কী?

এবার এগিয়ে এলেন ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকো। ষাটের দশকে তিনি একটি বই লিখলেন, যার নাম দিস ইজ নট আ পাইপ। ছবি এবং প্রতিনিধিত্বের পুরো পশ্চিমা জ্ঞানকাণ্ডটিরই কাঠামো নিয়ে আলোচনা পাতলেন তিনি।

কিন্তু আমি বোর্হেসের মানচিত্র থেকে দূরে সরতে চাই না। কেননা, ওই গল্পে আরও কিছু লুকানো দিক থেকে গেছে। বোর্হেস ভান করলেন যেন এটা কোনো গল্প নয়। বরং পুরোটা একটা উদ্ধৃতি। কিসের উদ্ধৃতি? একটা প্রাচীন বইয়ের। সুয়ারেস মিরান্দা নামে এক লেখকের ১৬৫৮ সালে লেখা বহু খণ্ডে বিভক্ত এক মহাগ্রন্থের একটি খণ্ড থেকে তুলে ধরা উদ্ধৃতি। বোর্হেস প্রথম যখন গল্পটি পত্রিকায় ছাপেন, তখন নিজ নামে ছাপেননি। ছেপেছেন বি লিঞ্চ ডেভিস নামে। এটা একটা ‘কমন’ ছদ্মনাম। বোর্হেস ও তাঁর বন্ধু বিয়োই কাসারেস দুজনে এই অভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন, যাঁর যখন দরকার পড়ে। ছদ্মনামে লেখা গল্পে অস্তিত্বহীন এক লেখকের কাল্পনিক এক বই থেকে উদ্ধৃতি টেনে বোর্হেস আসলে প্রতিনিধিত্বের সংকটের একটা বহুস্তর জটিল শেকল তৈরির চেষ্টা করেছেন।

বোর্হেসের এই গল্পটি আবার লুইস ক্যারোলের শিশুতোষ উপন্যাস সিলভি অ্যান্ড ব্রুনো কনক্লুডেড-এর অনুকরণমাত্র। ক্যারোলের ওই উপন্যাসের এক জায়গায় একটি চরিত্র তাদের রাজ্যের এমন একটি মানচিত্র তৈরির সংবাদ শোনাচ্ছে, যেখানে মানচিত্রের এক মাইল সমান বাস্তবের এক মাইল। কিন্তু সেই মানচিত্র কার্যকর করা যায়নি। কারণ কী? রাজ্যের কৃষকেরা আপত্তি দিয়ে বসেছেন। কেননা, ও রকম একটি মানচিত্র পুরো দেশটাকে ঢেকে দেবে। তাতে কৃষকেরা ফসলের চাষ করবেন কী করে? কাজেই মানচিত্রটা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে পুরো দেশটাকেই এখন সেই দেশের মানচিত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমাদের দেশে মানচিত্র তৈরি নিয়ে এখনো কোনো সংকট দেখা দেয়নি বটে। তবে অনেকে বলেন, আমরা প্রতিনিধিত্বের সংকটে পড়েছি। এখানে জনপ্রতিনিধিদেরই আমরা মাঝে মাঝে জনগণ বলে ভুল করছি।