স্কুলের যত মজা

>

ভারতের সিটি মনটেসোরি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার!
ভারতের সিটি মনটেসোরি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার!

ভেবো না পৃথিবীর সব স্কুলই তোমার স্কুলের মতো। বিশ্বের কয়েকটি দেশের স্কুলে আছে আজব সব নিয়ম। জানতে হলে পড়তে হবে...

* জার্মানির শিশুরা যেদিন প্রথম স্কুলে যায়, সেদিন মা-বাবা-দাদা-দাদি তাদের একটা ‘কোন’ আকৃতির উপহার দেন। জার্মান ভাষায় এই উপহারকে বলা হয় ‘শুলটুটে’। উপহারের ভেতর থাকে চকলেট, ক্যানডি, পেনসিল, ইরেজার, স্কেলসহ নানা কিছু।

* জাপানের নিয়ম হলো, স্কুল পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীদেরই নিতে হবে। সে দেশে স্কুলের মেঝে ধোয়া-মোছা থেকে শুরু করে বেঞ্চ-বোর্ড পরিষ্কার রাখার কাজও শিক্ষার্থীরা নিজেরাই করে।

স্কুলের প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীদের এমন উপহার দেওয়ার নিয়ম আছে জার্মানিতে
স্কুলের প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীদের এমন উপহার দেওয়ার নিয়ম আছে জার্মানিতে

* ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোকে বলা হয় পৃথিবীর সেরা স্কুল। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত সে দেশের স্কুলের পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ভেবে দেখো, পরীক্ষা হবে, কিন্তু নম্বর দেওয়া হবে না। মজা না? এ ছাড়াও ফিনল্যান্ডে দ্বাদশ শ্রেণির আগপর্যন্ত কোনো জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা দিতে হয় না।

* ·রাশিয়ায় সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ হলো ‘জ্ঞান দিবস’। এই দিনেই বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া শুরু করতে হয়। ১ সেপ্টেম্বর যদি ছুটির দিন হয়, তবু সেদিনই স্কুলে যেতে হবে। এই নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটা চলবে না।

* নেদারল্যান্ডসের নিয়ম হলো, যেদিন কারও বয়স চার হবে, সেদিন থেকেই তাকে স্কুলে যেতে হবে। অর্থাৎ চতুর্থ জন্মদিন যেদিন, সেদিন থেকেই ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে শুরু করে। এখন ধরো একজনের জন্মদিন ৫ জানুয়ারি, আরেকজন জন্মেছে ৭ নভেম্বর। এভাবে পুরো বছরজুড়েই ক্লাসে নতুন নতুন শিক্ষার্থী যোগ হতে থাকে। তাই প্রথম বছরটা মূলত কোনো পড়ালেখা হয় না। পরের বছর থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা শুরু করে।

* শিক্ষার্থীরা যেন সঠিক পুষ্টি পায়, এ ব্যাপারে ফ্রান্সের স্কুলগুলো খুব সচেতন। সে দেশে স্কুল থেকেই দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। দুপুরের খাবারের মেন্যুতে কী কী থাকবে, সেটা ঠিক করে দেন স্কুলের নিজস্ব পুষ্টিবিদ। বয়স ১২ বছর হওয়ার আগপর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে না, এটাই সেখানকার নিয়ম।

* সুইডেনে টিফিনের জন্য পাক্কা দুই ঘণ্টার ছুটি দেওয়া হয়। ছেলেমেয়েরা যেন বাড়ি গিয়ে খেয়ে আসতে পারে, সে জন্যই এ নিয়ম।

* ·তিব্বতের ফুমাচ্যাংট্যাং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ‘উচ্চশিক্ষার’ দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। পৃথিবীর স্কুলগুলোর মধ্যে এই স্কুলের অবস্থান সবচেয়ে উঁচুতে, সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ৫ হাজার ৩৭৩ মিটার ওপরে।

* শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক দিয়ে সারা পৃথিবীতে এক নম্বরে আছে ভারতের সিটি মনটেসোরি স্কুল। এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার!