যাবে না-কি?

এই রাস্তা চলে গেছে স্বপ্নসম্ভব সন্ধ্যার দিকে, যাবে না-কি?

ঘুমের ভেতর থেকে অশ্রুত স্বর আসে, চলো জাগরণে যাই,

চলো, বুনোফুলের গন্ধ জড়িয়ে স্নায়ুর কিনারে দাঁড়াই

চুম্বনে আড়ষ্ট গ্রীবা ঊহ্য থাক, অনিদ্রাপীড়িত রাত রাখি

দূরে, রৌদ্রসংকুল হাওয়ায়, তাকিয়ো না তুমি

আমার বিপন্ন মুখে, ঢুকতে চেয়ো না জলমগ্ন গৃহের গভীরে

আমি আছি, এই রাস্তা যত দিন গোধূলির দিকে, জলাশয়তীরে

থামবে না, যাবে না-কি? এই রক্তের ক্রন্দন, সীমাবদ্ধ ভূমি

ছেড়ে? এসো, দ্যাখো, পাখি উড়ে যায় ডুবন্ত সূর্যের দিকে;

আমাদেরও যেতে বলে, ধুলায় লাঞ্ছিত শরীরের বিপরীতে