প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাই খুন, চারজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বড় ভাই আবদুর রহমান ওরফে নিজামকে (৩৭) ভাড়াটে খুনিদের সহযোগিতায় হত্যার দায়ে ছোট ভাই আয়াত আলীসহ (৩৫) চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকার জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।
আয়াত আলীর বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলায়। তবে বর্তমানে তিনি বগুড়া সদরের ভাটকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার কুচমা গ্রামের বাসিন্দা ও ভাড়াটে খুনি আবদুল খালেক, আবদুল মতিন ও বুলু মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে আয়াত আলী উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের পর তাঁদের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ ছিল আয়াত আলীর। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে নন্দীগ্রাম থেকে বগুড়া সদরের ভাটকান্দি গ্রামে বড় ভাই আবদুর রহমানকে ডেকে নিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন ছোট ভাই আয়াত আলী।
পরে লাশ বাড়ির পাশে ধানখেতে ফেলে রাখেন। পরবর্তী সময়ে আয়াত আলীর আরেক ভাই মোখলেছার রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের আটজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান আয়াত আলী ও আবদুল খালেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। পরে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত গতকাল বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।