ছাত্রলীগের কর্মীদের আসামি করতে এসপির কাছে আবেদন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী রিপন খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগের স্থানীয় কয়েক কর্মীকে আসামি করার আবেদন জানিয়েছেন রিপনের পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য সম্পূরক এজাহার গ্রহণ করতে গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
রিপনের ভাই মামলার বাদী মাসুদ রানা গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পূরক এজাহারটি দাখিল করেন।
সম্পূরক এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্যবসায়ী রিপনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ডেকে নেন ছাত্রলীগের কর্মী অহিদুজ্জামান, নাজমুল, আমজাদ, মোমেন ও হুমায়ন। তিনি (রিপন) ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানি বাজারে রূপায়ণ মসজিদের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে তাঁর পথরোধ করেন উল্লিখিত পাঁচজন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন। তাঁরা প্রথমে রিপনকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে অহিদুজ্জামান ও হুমায়ন কবির তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। পথচারীরা গুরুতর আহত রিপনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সম্পূরক এজাহারে মাসুদ রানা আরও বলেন, ছাত্রলীগের অভিযুক্ত নেতা মোমেন ৯ অক্টোবর তাঁকে (মাসুদ) বন্দর থানায় ডেকে নেন। এ সময় তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি এজাহারে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়। এমনকি তাঁকে এজাহারটি পড়ারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সম্পূরক এজাহার দিতে গত রোববার বিকেলে বন্দর থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে সম্পূরক এজাহার জমা দিয়েছেন।
রিপনের শাশুড়ি হাজেরা বেগম বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার পর থেকেই মীমাংসায় রাজি করতে আমাদের নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ জন্য অর্থের প্রলোভনও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে রাজি হইনি।’
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মী ও নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অহিদুজ্জামান বলেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। আমাকে ও ব্যবসায়ী রিপনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। ওই সময় আমি ও ছাত্রলীগের আরেক কর্মী নাজমুল আহত হয়েছিলাম।’