মামলার সাক্ষী ও স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছিনতাই মামলার সাক্ষী ও তাঁর স্বজনদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ওই আসামির বাবা তাঁদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাউফলের বগা ইউনিয়নের কৌখালী গ্রামের মো. ইদ্রিস হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী মোসা. রানী বেগম গত ১৮ জুলাই জমি বিক্রির বায়নার ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা সদরের ভায়লা কাটাখালী বাঁধ এলাকায় পৌঁছালে মো. নিজামের (৪১) নেতৃত্বে চার ব্যক্তি তাঁদের পথরোধ করেন এবং তাঁদের মারধর করে ওই ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনায় রানী বেগম গত ২১ জুলাই পটুয়াখালী সদর থানায় নিজামকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা করেন। এতে সাক্ষী হয়েছেন কৌখালী গ্রামের মো. শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মো. বশির হাওলাদার (৩৫)। এই মামলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মো. নিজামের বাড়ি বাউফলের বগা ইউনিয়নের কৌখালী গ্রামে। স্থানীয় এক স্কুলছাত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় সাজাভোগের পর ২০১৩ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মো. বশির হাওলাদার অভিযোগ করেন, ছিনতাই মামলায় সাক্ষী হওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হন নিজাম। এ কারণে তাঁকেসহ (বশির) তাঁর বড় ভাই নাসির হাওলাদার (৪০) ও চাচাতো ভাই দোলোয়ার হোসেনকে (৪৫) আসামি করে ৫ অক্টোবর নিজামের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা করেছেন। তিনি জানান, দেলোয়ার হোসেন ঢাকায় চাকরি করেন। গত পাঁচ বছর তিনি বাড়িতে আসেননি। আর নাসির হাওলাদারও ঢাকায় থাকেন। তিনি গত কয়েক মাস বাড়িতে আসেননি। অথচ ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ‘ছিনতাই মামলাটির তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি। পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’