বরিশালে ওসির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটি টাকা মূল্যের ২০ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার ভোলা প্রেসক্লাবে ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্বজনেরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাহী সদস্য আমির হোসেন। তাঁর বাড়ি চরফ্যাশনের জিন্নাগড় গ্রামে। তিনি বলেন, চরফ্যাশন পৌরসভাসংলগ্ন এলাকার ২০ শতক জমি তাঁরা ১৯৮৭ সালে স্থানীয় সামসুন্নাহারের কাছ থেকে কিনে নেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে ওই জমির নামজারি ও রেকর্ড আছে। ওই জমির ওপর একই গ্রামের বাসিন্দা ও বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি আওলাদ হোসেনের কুদৃষ্টি পড়ে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিস হয়। এতে আওলাদের পক্ষ হেরে যায়। সালিসে জিতে সীমানাপ্রাচীর করতে গেলে আওলাদের পক্ষে চরফ্যাশন থানার পুলিশ ও আওলাদের ভাই হারুন অর রশীদ বাধা দেন। আওলাদের পরিবারের লোকজন ভূমি ও সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে তিনটি মামলা করেন। এতে আওলাদের পক্ষ হেরে যায়। হেরে গিয়েও তারা জমির দখল ছাড়ছে না। উল্টো তারা গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে জমিতে বালু ফেলতে শুরু করে।

এ ঘটনা চরফ্যাশন থানার ওসি ও পৌরসভার মেয়রকে জানালে তাঁরা মৌখিকভাবে বালু ফেলা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু আওলাদের লোকজন ভরাট বন্ধ করেনি।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘দুই পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছিলাম। কিন্তু আমিরুল ইসলামের পক্ষ আসেনি। উল্টো মেয়রের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। মেয়র তাঁর কাউন্সিলরকে দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এখানে ওসির কী ভূমিকা থাকতে পারে?’

বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি আওলাদ হোসেন গতকাল মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই জমি আমার বাবা শাহ মো. মফিজুল ইসলামের। আমিরুল ইসলামের পক্ষ ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে তাঁদের পক্ষে রায় ও ভুয়া রেকর্ড করিয়েছে।’

তবে আমিরুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।