১২১ বিদ্যালয় তদারকিতে কর্মকর্তা মাত্র একজন

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২১। এসব িবদ্যালয়ের পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম তদারকির জন্য রয়েছেন মাত্র একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা। ফলে নিয়মিত তদারকি হয়ে উঠছে না।

শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সুষ্ঠুভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা ও বিভিন্ন বিষয়ে তদারকির জন্য উপজেলার আটটি ইউনিয়নকে তিন গুচ্ছে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো খেদারমারা, করেঙ্গাতলী ও বাঘাইছড়ি। প্রতি গুচ্ছে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও তিনটির মধ্যে আছেন মাত্র একজন। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কর্মকর্তা পদটি শূন্য থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ফলে নিজেদের দাপ্তরিক কাজেই বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁকে। প্রায় সময় দৌড়াতে হয় রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দিয়ে চলে আসছিল। গত ১০ আগস্ট দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম ও রাপ্রু ছাই মারমা বদলি হন। এরপর সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিলেশ চাকমা যোগদন করেন। এদিকে আড়াই বছর ধরে শিক্ষা কর্মকর্তার পদটি শূন্য রয়েছে। সে কারণে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা একাই চারজনের কাজ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। উপজেলায় ১২১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৭টি সরকারি ও ২৪ বেসরকারি।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা সংকটের কারণে গুচ্ছ এলাকায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তিমান চাকমা বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংকটের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত তদারক করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতি মাসে সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়।

নিখিলেশ চাকমা বলেন, ‘উপজেলায় আমিসহ চারটি শিক্ষা কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে আছি আমি একজন। যোগাযোগের দুরবস্থার কারণে ঠিকমতো বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যায় না। এ ছাড়া গুচ্ছ এলাকায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, উপজেলা-জেলায় মিটিং, প্রশিক্ষণ থাকে। একা সব কাজ সামলাতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংকটের বিষয়ে জেলা পরিষদে আলোচনা করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।