জুনের আগে দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না

গুলশান ২-এর ৪৬ নম্বর সড়কে চলছে খেঁাড়াখুঁড়ির কাজ । গতকাল দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো
গুলশান ২-এর ৪৬ নম্বর সড়কে চলছে খেঁাড়াখুঁড়ির কাজ । গতকাল দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো

গুলশান-বনানীতে অনেক দিন ধরেই সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এক সড়ক শেষ হতে না-হতেই আরেক সড়কে শুরু হচ্ছে এই খননকাজ। বছর খানেক ধরে চলতে থাকা এই খোঁড়াখুঁড়ি জনসাধারণকে বেশ ভোগান্তিতে ফেলেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, আগামী বছরের জুনের আগে সড়ক খোঁড়ার কাজ শেষ হচ্ছে না।
বনানী ১১ নম্বর সড়কের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তবে পাশেই ৭ নম্বর সড়কে নালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বনানী থানার সামনের এ সড়কে দুপাশের গাছ কাটা হচ্ছে। থানার পুলিশের এক সদস্য বললেন, দুই সপ্তাহ ধরে এ কাজ চলছে। এই এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড।
গতকাল বুধবার দেখা গেল, ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কের সামনে কাজের নাম ও সময়সীমা উল্লেখ আছে। একেক সড়কে একেক কাজ হচ্ছে। কোথাও চলছে ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক নির্মাণ। কোথাও নালা তৈরি হচ্ছে, আবার কোথাও চলছে পয়োনিষ্কাশন লাইনের কাজ। যে সড়কগুলো খোঁড়া হচ্ছে, তার আশপাশের সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। গতি মন্থর হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ধুলা।
গুলশান ৪৬ নম্বর সড়কে পয়োনিষ্কাশন লাইনের কাজ হচ্ছে। বেশ বড় বড় গর্ত। আশপাশের ভবনের গাড়িগুলো গর্তের ঠিক পাশেই রাখা। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। মো. লিটন নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা সুয়ারেজের কাম করতাছি। ৮-১০ দিন ধইরা রাস্তা কাটতাছি।’ কত দিনে শেষ হতে পারে—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৫ দিন লাগতে পারে। তিনি আরও বললেন, পাশে ৪১, ৩৫সহ বেশ কয়েকটি সড়কেও পয়োনিষ্কাশন লাইনের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তারকে বনানী হয়ে কড়াইলে যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘আগে রিকশা একটা ঠিক করলেই হতো। এখন রিকশা তো পাওয়াই যায় না, তার ওপর রাস্তা কাটায় কয়েকবার রিকশা বদল করতে হয়।’
ডিএনসিসি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে সাত কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ করছে। এ ছাড়া গুলশান-বনানী ও বারিধারার জন্য সরকারিভাবে ১০০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প চলছে।
ডিএনসিসি অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। নির্মাণকালীন যে ভোগান্তি, তা আগামী জুনে শেষ হবে। তিনি আশা করছেন, এ কাজগুলো শেষ হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে আর কোনো কাজ ধরতে হবে না।