জীবনের ছন্দ নিয়ে 'রিদম'

নিজের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সবুর খানের সঙ্গে অধ্যাপক গোলাম রহমান (ডানে)
নিজের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সবুর খানের সঙ্গে অধ্যাপক গোলাম রহমান (ডানে)

পাশাপাশি দুটি ছবি। একটিতে ঢাকার রাজপথে রিকশার জট। অন্যটিতে গ্রামবাংলার কয়েকজন নারী ধান শুকাচ্ছেন। প্রদর্শনীর প্রতিটি ছবিই বৈচিত্র্যময়। নানা দেশের নানা বর্ণের মানুষ, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, উৎসবের রং, বিখ্যাত স্থাপনার ভিন্ন রূপ উঠে এসেছে ক্যামেরার লেন্সে।
প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক মো. গোলাম রহমানের ভিন্ন এক পরিচয় তিনি আলোকচিত্রী। দেশ-বিদেশ ঘুরে তাঁর তোলা ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘রিদম’। গতকাল বৃহস্পতিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ইউনিভার্সিটির ফটোগ্রাফিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ এবং ফটোগ্রাফিক সোসাইটি যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী। চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
স্বদেশের আনাচকানাচ ঘুরে বেড়িয়েছেন গোলাম রহমান। এ ছাড়া পৃথিবীর অনেকগুলো দেশেও ভ্রমণ করেছেন। ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন মানুষের জীবনের ছন্দ। বাংলার গ্রামে জাল পেতে বসে থাকা জেলে, আফ্রিকার কৃষ্ণ নারীর চোখে ফুটে থাকা সৌন্দর্য, তুষারপাতে ঢেকে যাওয়া ঘরবাড়ি। কী নেই তাঁর তোলা ছবির তালিকায়!
গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, দেশের নানা ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব-সমস্যা বিদ্যমান। এসব ক্ষেত্রে মুক্তচিন্তা বা সৃজনশীলতার প্রতি অনাগ্রহ আছে কি না, তা দেখতে হবে। তা না হলে এত দ্বন্দ্ব, এত সমস্যা কেন? ভবিষ্যতে এ দ্বন্দ্ব দেশে বড় সংকট তৈরি করতে পারে।
মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে ছাপা সংবাদপত্র অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। সংবাদপত্রের ভালো করার শেষ নেই। ভালো করার সঙ্গে ছবির গুরুত্ব অনেক বেশি। ভালো ছবি পত্রিকায় থাকা দরকার।
অনুষ্ঠানে গোলাম রহমান বলেন, ‘জীবনকে সহজভাবে দেখতে চাই। অনেক সমস্যা সংকট থাকবে, তার মধ্য থেকেই চলতে হবে। ফটোগ্রাফি একটি আলাদা জগৎ, একটি আলাদা ভাষা। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সহজ ভাষায় মানুষের জীবনের কথা বলতে চাই।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ এম এম হামিদুর রহমান এবং সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদ।