সোনালি অতীত নিয়ে টেলিভিশন জাদুঘর

তরুণ প্রজন্ম বরাবরই গৌরবোজ্জ্বল অতীতের ইতিহাস জানতে চায়। তা থেকে তরুণেরা রোমাঞ্চিত হন। আর পুরোনোদের আগ্রহ, তাঁদের কাজগুলো এক জায়গায় সংরক্ষিত থাকবে। তা দেখে তাঁরা হবেন স্মৃতিকাতর এবং জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করবেন। টেলিভিশন মিউজিয়াম চালু উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন সদর দপ্তরে প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ।
সব বয়সের মানুষকে সোনালি অতীতে ফিরিয়ে নিতে চালু হয়েছে টেলিভিশন মিউজিয়াম। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের শুরুর দিককার অনেক শিল্পী, কর্মকর্তা ও কলাকুশলী। ছিলেন এখনকারও অনেকে। তাঁরা মিউজিয়াম ঘুরে দেখে হয়েছেন স্মৃতিকাতর।
রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তরের নিচতলায় ঢুকতেই বাঁ দিকে চোখে পড়ল বিশালাকারের একটি ক্যামেরা। জার্মানির তৈরি কেসিকে৪০ মডেলের এই ক্যামেরা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এমন আরও অনেক ক্যামেরা, সম্প্রচার যন্ত্রপাতি, নাটকের চিত্রনাট্য, উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন নাটকের স্থিরচিত্রসহ বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনেক দুর্লভ সংগ্রহ আগ্রহীরা দেখতে পারবেন এই টেলিভিশন মিউজিয়ামে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী আফসানা মিমি ঘুরতে ঘুরতে একটা ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। শহীদুজ্জামান সেলিম ও আফসানা মিমির সেই ছবিটি কোথাও কেউ নেই নাটকের। বললেন, ‘আমাদের শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিটিভি দেখে। দারুণ সব অনুষ্ঠান দেখে বড় হয়েছি। বিটিভির কারণেই আজকের এই পর্যায়ে আমি এসেছি। বিভিন্ন সময়ে যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের ফটোগ্রাফ বাঁধাই করে টাঙানো আছে এই মিউজিয়ামে।’
বিটিভির মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এটা বিটিভি মিউজিয়াম না, এটাকে আমরা টেলিভিশন মিউজিয়াম বলছি। এটার মালিকানা টেলিভিশন-সংশ্লিষ্ট সবার। এখানে এসে মানুষ টেলিভিশনের বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। টেলিভিশনের যাত্রা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একটা ভ্রমণও হয়ে যাবে।’
টেলিভিশন মিউজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নওয়াজিশ আলী খান, ড. ইনামুল হক, আতাউর রহমান, ফরিদা পারভীন, কেরামত মওলা, আল মনসুর, ফেরদৌস আরা, সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
আগ্রহীরা যে কেউ চাইলে টেলিভিশন মিউজিয়াম ঘুরে আসতে পারেন। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।