জিয়ার কবর সরানোর ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার সচেতনভাবে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। এ জন্য তাঁর কবর সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। দেশের জনগণ এ ধরনের হঠকারী কাজ কখনোই মেনে নেবে না।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ফখরুল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, লুই আই কানের মূল নকশা আনার মূল উদ্দেশ্য জিয়াউর রহমানের কবর সরানো। সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে মুক্তিযুদ্ধের মূলনায়কদের বিশেষ করে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু তা কোনো দিন সম্ভব হবে না। কারণ, জিয়াউর রহমানের নাম দেশের সব মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। তাই পদক কেড়ে নিয়ে বা তাঁর কবর সরিয়ে দেওয়ার মতো হঠকারী কাজ দেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন নির্বাসিত। দেশে মুক্তিযোদ্ধারাও এখন নির্যাতিত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে বিএনপি মনে করে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার যোগ্যতা এই কমিশনের নেই। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিএনপি এই নির্বাচনে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
প্রসঙ্গত, লুই আই কানের তৈরি করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪০টি বাক্সে মূল নকশার চারটি করে সেট যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এই নকশা আনার জন্য সরকার প্রায় ৪ লাখ ডলার বরাদ্দ করে, যা ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার কাছাকাছি।
১৯৭৫ সালের পর আটজন নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে। এ কবরগুলো ছাড়াও শেরেবাংলা নগরে লুই কানের নকশাবহির্ভূত আরও সাতটি স্থাপনা আছে।