সিলেট ও চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা হবে: প্রধান বিচারপতি

সিলেট ও চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারিক সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকি বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছেন। নতুন বিচারক নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইনজীবীদের বিচার বিভাগের একটি অঙ্গ অভিহিত করে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আইনজীবীরা বিচার বিভাগের একটি অঙ্গ। তাঁরাই নির্যাতিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেন। একজন আইনজীবীর সামান্য ত্রুটির কারণে বিচারপ্রার্থীর অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আবার তাঁর যথাযথ সচেতনতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই আইন পেশাকে নিছক পেশা হিসেবে গ্রহণ না করে সেবা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’

প্রধান বিচারপতি সিলেট বারে আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরুর স্মৃতিচারণা করে বলেন, স্বাধীনতা-উত্তরকালে সিলেট বারে যেসব আইনজীবী কাজ করতেন, তাঁরা ছিলেন প্রবাদপ্রতিম সততার অধিকারী। তাঁরা কখনোই সিলেট বারের আইন অঙ্গনে রাজনীতির চর্চা করতেন না। সিলেটের আইনজীবীদের অতীতের মতো সিলেট বারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সিলেটের জজ আদালত চত্বরে আয়োজিত বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির নবীন আইনজীবীদের বরণ, আইনজীবীদের মেধাবী সন্তানদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সিলেট বারে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ২৭৪ জন আইনজীবীকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে এম শমিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারি, সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জিপি খাদিমুল মিল্লাহ মোহাম্মদ জালাল। আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের বখতের সঞ্চালনায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ আশরাফুল ইসলাম।