'দাবি বাস্তবায়ন হলে ৩০০ টাকায় গরুর মাংস'

দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন করা হলে ৩০০ টাকায় গরুর মাংস খাওয়ানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় গরু আমদানির ব্যবস্থা ঠিক করা হলে ৩০০ টাকা কেন আরও কম দামেও মাংস আমরা শহরবাসীকে খাওয়াইতে পারব।’

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে না নেওয়া হলে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হবে। মানা হলে ধর্মঘটের আর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি আশা করছেন ধর্মঘট আর লাগবে না।

রবিউল আলম বলেন, দাবি মানা এক জিনিস আর বাস্তবায়ন করা আরেক জিনিস। বাস্তবায়ন যদি করে তো একটু সময় লাগবে। যদি গরু আমদানি ওইভাবে বাস্তবায়ন করে আনা হয় তাহলে ৩০০ টাকার কমেও মাংস খাওয়ানো সম্ভব।


চার দফা দাবিতে টানা ছয় দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট আগামীকাল শনিবার শেষ হবে। এই চার দফা দাবি হলো অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের জন্য গাবতলী হাটে ইজারাদারদের ইজারা বাতিল করাসহ হুন্ডির মাধ্যমে গরু ব্যবসার নামে ভারতে গরু পাচার বন্ধ করা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী ‘কালা মইজা’কে বিচারের আওতায় আনা, হাজারিবাগের ট্যানারিগুলো দ্রুত অপসারণ ও চামড়ার পড়তি দাম বাড়ানো, উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাদের অপসারণ ও আইনের আওতায় আনা এবং ট্যানারি শিল্প মালিকদের দুই ভাগে ভাগ করে সফল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা এবং ব্যর্থ মালিকদের কারখানা বন্ধ করা।


রোববার তো পশু জবাই বন্ধ থাকে। সেদিনও পশু জবাই হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রবিউল আলম বলেন, ‘তা জানি না। আমাদের শনিবার পর্যন্ত ধর্মঘট ছিল, তা পালন করেছি। শনিবারের পর থেকে আমাদের ধর্মঘট স্থগিত থাকবে, প্রত্যাহার হবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিটিং আছে রোববারে। রোববারে শহরে গরু জবাই হবে।’

ট্যানারি মালিকদের ‘সিন্ডিকেটের কারণে’ চামড়ার দাম কমে যাচ্ছে দাবি করে রবিউল আলম বলেন, গরুর চামড়া এক সময় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। সেই চামড়া এখন ২ থেকে ৬ শত টাকায় বিক্রি করতে হয়। ছাগলের চামড়া একসময় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হতো। তা এখন ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মো. আবদুল বারেক, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।