জনগণকে কষ্ট না দিয়ে আদালতে বক্তব্য দিন

পরিবহনশ্রমিকদের ধর্মঘটকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জনগণকে কষ্ট না দিয়ে আদালতের সামনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে তিনি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলার রায় নিয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। কুনিও হত্যা মামলার রায়কে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে খুনের মামলা শেষ করার উদাহরণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন।

সারা দেশে পরিবহনশ্রমিকদের ধর্মঘটে আদালত অবমাননা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের (পরিবহনশ্রমিক) উদ্দেশে বলতে চাই, জনগণকে কষ্ট না দিয়ে আপনারা আদালতে এসে আপনাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। আপনাদের বক্তব্য যদি যুক্তিসংগত হয়, তবে তা দেখা হবে। যুক্তিসংগত না হলে দেখা হবে না।’

ধর্মঘটে আদালত অবমাননা হচ্ছে কি না, আবার জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি আদালতের বিবেচ্য বিষয়।

কুনিও হোশি হত্যা মামলার রায় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমাদের দেশে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কুনিও ছিলেন একজন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে খুনের মামলা শেষ করার উদাহরণ। এই রায়ের মাধ্যমে বিচারিক আদালতে যে গতি এসেছে, তাতে নতুন করে আর মামলাজট হবে না।’ এই উদাহরণ সামনে নিয়ে দেশে অন্যান্য আলোচিত ও সাধারণ মামলায় নজর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একইভাবে রাজন ও রাকিব হত্যা মামলাও দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব এভাবে প্রত্যেক মামলা নজরদারিতে রাখার। নজরদারিতে থাকলে দ্রুত মামলা শেষ করা যায়।’ জঙ্গিদের মামলাগুলোও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলবে বলে জানান মন্ত্রী।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাসহ রাজনৈতিক মামলা দ্রুত শেষ হচ্ছে না কেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন অন্তত ২০ বার মামলায় সময় নিয়েছেন। এ কারণে সহিংসতার মামলাগুলোয় দেরি হচ্ছে।

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।