সোয়াটের তিন সদস্যসহ আহত ৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্রেমতলা এলাকার ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশের সোয়াট (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস) দলের তিন সদস্যসহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন। গত বুধবার বিকেলে ও গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেনেড হামলায় তাঁরা আহত হন।
আহত চারজন হলেন সোয়াটের চট্টগ্রাম নগরের সদস্য ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ, ঢাকা সোয়াটের সদস্য কনস্টেবল শরীয়ত হাসান ও মোহাম্মদ আসিব, সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মঈন উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে শরীয়ত ও আসিব চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি তিনজন সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামে চিকিৎসা নেন।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোয়াটের দুই সদস্যকে গতকাল দুপুরে দেখতে যান চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা আহত দুজনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত প্রথম আলোকে বলেন, শরীয়তের পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। বিস্ফোরণে তাঁর থুতনি কেটে গেছে এবং তিনটি দাঁত ফেলে দিতে হয়েছে। এ ছাড়া দুই পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। আর আসিবের শরীরের ওপর ও নিচের অংশে কয়েকটি স্প্লিন্টার লেগেছে। তাঁর কানের পর্দা ফেটে গেছে। তিনি বলেন, ছায়ানীড়ে গতকাল ভোরে অভিযান শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে জঙ্গিরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তাঁরা আহত হন।
অন্যদিকে বুধবার বিকেলে ছাড়ানীড় ঘেরাও করার সময় জঙ্গিদের ছুড়ে মারা গ্রেনেডের আঘাতে আহত হন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক।
অভিযান চালানোর সময় জঙ্গি হামলায় আহত চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার সোয়াট সদস্য ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁ পা থেকে পাঁচটি স্প্লিন্টার বের করেছেন। তিনি বলেন, বাড়িটি ঘেরাও করে অগ্রসর হওয়ার সময় জঙ্গিরা একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে মারছিল। এ সময় গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
এদিকে গতকাল ভোরে বাড়ির গ্রিল কাটার সময় ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী মঈন উদ্দিন সামান্য আহত হন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।