বিচার দাবিতে সোচ্চার কুমিল্লা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় কুমিল্লা জেলা সিআইডির সহকারী  পুলিশ সুপার মো. আরিফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবিটি সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোলা। ছবি: এমদাদুল হক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় কুমিল্লা জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবিটি সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোলা। ছবি: এমদাদুল হক

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হলো আজ সোমবার। তনু হত্যার বিচার দাবিতে কুমিল্লায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সকালে তনুর গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারে তনুকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন ও দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়।

এ ছাড়া গণজাগরণ মঞ্চ আগামী ১০ দিনের মধ্যে তনু হত্যা মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ও সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে। তা না করা হলে আগামী ২ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানিয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের কুমিল্লার অন্যতম সংগঠক খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, ‘গত এক বছরে পুলিশ এ ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

এক বছরেও তনু হত্যা মামলার কোনো আসামি শনাক্ত করা হয়নি। দীর্ঘ সময়েও এ মামলার কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ অবস্থায় তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে শঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা।

গত বছরের ২০ মার্চ রাতে তনুর লাশ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২১ মার্চ তনুর বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।