উলিপুরে নদী বাঁচাতে সাইকেল র্যালি

দখলদারদের হাত থেকে বুড়িতিস্তা নদী বাঁচাতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উলিপুর শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ ও সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সফি খান
দখলদারদের হাত থেকে বুড়িতিস্তা নদী বাঁচাতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উলিপুর শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ ও সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সফি খান

দখলদারদের হাত থেকে বুড়িতিস্তা নদী বাঁচাতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উলিপুর শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ ও সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। রেল-নৌ যোগাযোগ, পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি এবং উলিপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এসব অনুষ্ঠান।

তিস্তা নদী থেকে বের হয়ে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এই শাখা নদী বুড়িতিস্তা নামে পরিচিত। ২০ বছর আগে অর্জুন গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি স্লুইসগেট দেয়। পরবর্তী সময়ে সেটি ভেঙে গেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে বুড়িতিস্তার মুখ বন্ধ করে দেয়। এতে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় মাছশূন্য হয়ে পড়ে। শত শত জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে একদল দখলদার দুই পারে জমি দখল করে মার্কেট, স্কুল, দোকান, ঘরবাড়ি তৈরি করেছে। মাঝখানে পুকুরও চাষাবাদ চলছে। অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে জমি উদ্ধার, স্থাপনা উচ্ছেদ ও প্রবেশমুখে স্লুইসগেট নির্মাণের দাবিতেই আজকের সমাবেশ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ দাবি জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। যতক্ষণ দাবি আদায় না হয়, আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সমাবেশ শেষে সর্বস্তরের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সাইকেল র‌্যালি বের করে। এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘বুড়িতিস্তা আমার মা, দখলদারদের থাকতে দেব না’, ‘বুড়িতিস্তা বাঁচাও উলিপুর বাঁচাও’। পাঁচ শতাধিক সাইকেল শহর প্রদক্ষিণ শেষে তিস্তা নদীর প্রবেশমুখ তেথরাই যায়। এ সময় পাঁচ জায়গায় তাদের অভ্যর্থনা জানায় স্থানীয় মানুষ। মিছিল তেথরাই বাজারে পৌঁছালে এলাকাবাসী মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে আন্দোলনে সমর্থন জানায়। এখানে একটি পথনাটক প্রদর্শন করে কমিটির সদস্যরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন তালুকদার, আন্দোলনের নেতা পরিমল মজুমদার, তৈয়বুর রহমান, উলিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা কলি ও উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরদার, গণকমিটির সভাপতি আপন আলমগীর ও পৌর কমিটির সভাপতি আবুল হাসান রাজীব।