স্ত্রী হত্যায় স্বামী, স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আর শেরপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুই জেলার পৃথক দুটি আদালত এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর : সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামে রেহানা আক্তার রেনু হত্যা মামলায় স্বামী ইছমাইল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের দাবি ও পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৩ সালের ৮ নভেম্বর রাতে সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামে স্বামী ইছমাইল হোসেনের বাড়িতে রেহানা আক্তার রেনুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন রেহানার ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে ইছমাইল হোসেনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল ইছমাইল হোসেনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবুল কালাম আজাদ। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মো. আবুল বাশার।

এদিকে, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী সৈয়দুর রহমান ওরফে ফজু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আছমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আছমা নিহত সৈয়দুর রহমান ওরফে ফজু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি ইমাম হোসেন ঠান্ডু জানান, উপজেলার রামেরকুড় গ্রামের পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ২৯ জুলাই রাতে সৈয়দুর রহমানকে নিজ বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আছমা আক্তার কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে প্রতিবেশীরা আছমাকে আটক করে পুলিশে দেন।

এ ঘটনায় সৈয়দুরের প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে হারুন রশিদ বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আছমা আক্তারকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত রায় দেন।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আবুজর গাফ্ফারি।