ইয়াসিন কারাগারে নেই, হাসনাত গাজীপুরে

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নিখোঁজ ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ তালুকদার বাংলাদেশের কোনো কারাগারে নেই বলে যুক্তরাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হাসনাত রেজা করিম গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আছেন বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই দুই নাগরিককে কনস্যুলার সুবিধা দিতে চায় যুক্তরাজ্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা কোন কারাগারে কী অবস্থায় আছেন, তা জানতে চায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন নিজে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ব্রিটিশ নাগরিক ইয়াসিন ও হাসনাত করিমের অবস্থানের কথা আজ বুধবার চিঠি দিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইয়াসিন আমাদের কোনো কারাগারে নেই। আর হাসনাত করিম কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন। বিষয়টি জানিয়ে যুক্তরাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা ইয়াসিনের মা প্রবীণ চিকিৎসক সুরাইয়া পারভিন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে উত্তরা র‍্যাবের কার্যালয়ে রয়েছে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তারা আমার ছেলেকে কেন ছাড়ছে না, ঠিক জানি না।’

জানতে চাইলে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না।

ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ প্রায় ১০ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা ব্রিটিশ মন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়, ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর অবস্থান জানানো হয়নি বলে ব্রিটিশ হাইকমিশন কনস্যুলার সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাঁর অবস্থান জানতে চায় ব্রিটিশ সরকার।

ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ব্রিটিশ হাইকমিশন এর আগে ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিল। সরকার সেই অনুমতি দেয়। কিন্তু তাঁকে না পাওয়ায় হাইকমিশন কনস্যুলার সুবিধা দিতে পারছে না। এ কারণে তিনি কোথায় আছেন, তা জানতে চায় যুক্তরাজ্য।