সাক্কুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সরকার-দলের কোনো হাত নেই

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সরকার বা দলের কোনো হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ আইনের ব্যাপার। ২০০৮ সালের একটি দুর্নীতির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মামলাটি আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। আলাদা সংস্থা দুদক ওই মামলাটি করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পদচারী-সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা নয়। আমাদের টার্গেট বাস্তবায়ন হয়েছে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে, তা আমাদের লক্ষ্য ছিল না।’

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে চক্রান্ত করেছে একটি মহল, এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতেই চাইলে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের ভেতর থেকে দুটি প্রতিবেদন ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করছি। এতে কারও কোনো চক্রান্ত খুঁজে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয় না। গণতান্ত্রিক দেশে নিবন্ধিত সব দলেরই নির্বাচন করার অধিকার আছে। বিএনপিকে সে অধিকার অর্জন করতে হবে। বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে পড়েছে। নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পা ফেলে আটকে গেছে। এখান থেকে তাদের কেউ টেনে তুলবে না। নিজেদেরই উঠে আসতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক একটি সরকার রয়েছে। বিএনপি থাকলে গণতন্ত্র থাকবে আর বিএনপি না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না—এটা তাদের ভুল ধারণা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে দেশে গণতন্ত্র নেই, এটাও তাদের ভুল ধারণা। নির্বাচনে একটি দলের আসা না-আসা সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ যে একটি পূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ, তা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলনে প্রমাণিত হয়েছে। গণতন্ত্র না থাকলে বিশ্বের ১৩৫টি দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে আসতেন না। এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

পরে মন্ত্রী সড়কপথে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী যান।