খুলনায় শুরু ভাষা প্রতিযোগ

খুলনায় সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ভাষা প্রতিযোগ উৎসবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। ছবি: প্রথম আলো।
খুলনায় সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ভাষা প্রতিযোগ উৎসবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। ছবি: প্রথম আলো।

খুলনায় শুরু হয়েছে এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ। উৎসবে প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চারটি বিভাগে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার মোট এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উৎসবস্থলে জড়ো হতে শুরু করে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সকাল থেকেই ছিল ভাপসা গরম। সকাল নয়টাতেই তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম উপেক্ষা করে সকাল নয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান চত্বর পূর্ণ হয়ে যায়। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। প্রতিযোগে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে ভাষা নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।

সকাল সোয়া নয়টায় করোনেশন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান, ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার। পরে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন-অর-রশীদ, শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুদরত-ই-হুদা, প্রথম আলোর খুলনা প্রতিনিধি শেখ আল-এহসান, প্রথম আলো খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি রমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ রাশেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান। উপস্থিত প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাকে, মাতৃভূমিকে এবং ভাষাকে ভালোবাসতে হবে।
তোমাদের সুনাগরিক, ভালো মনের মানুষ হতে হবে। সুন্দরমনের মানুষ হয়ে তোমরা দেশকে এগিয়ে নেবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চারটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রশ্নোত্তরপর্ব ও ‘বানান বীর’ নামের মজার প্রতিযোগিতা।

ভাষা প্রতিযোগের এ আয়োজন ১৩ বছর পূর্তি হলো।