মিরপুরের বৃহত্তর এলাকায় গ্যাস নেই

রাজধানীর মিরপুরের বৃহত্তর এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস নেই। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

মেট্রোরেলের কাজের জন্য গ্যাস লাইন সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোকেয়া সরণি, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর ৭, মিরপুর ৯, মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, পল্লবী, কালশী, ইব্রাহিমপুর, কাফরুল প্রভৃতি এলাকায় আজ সকাল থেকে গ্যাস নেই।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বলছেন, গত ছয় মাস ধরে মাঝেমধ্যে এভাবে গ্যাস বন্ধ রাখা হচ্ছে। গ্যাস বন্ধ রাখার ঘোষণা কখনো প্রচার করা হচ্ছে, কখনো হচ্ছে না।

গত বুধবার রাতে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের কাছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেকে ফোন করে জানতে চান, গ্যাস বন্ধ থাকার বিষয়ে আগাম ঘোষণার কোনো তথ্য আছে কি না।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, গ্যাস বন্ধ করা হলে আগেই মাইকিং করা হবে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার বাসিন্দা রিতা দেবনাথ বলেন, তাঁরা প্রচারমাধ্যম থেকে জানতে পারেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্যাস থাকবে না। তাই তাঁরা সেভাবে প্রস্তুতি নেন। কিন্তু রাত ১১টায়ও গ্যাস ছিল। আজ সকালে গ্যাস পাওয়া যায়নি।

শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা কবিরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস থাকবে না মর্মে তাঁদের এলাকায় মাইকিং করা হয়নি। গ্যাস না থাকায় সকালে রান্না করা যায়নি।

মিরপুর ১৪ নম্বরের বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, গ্যাস না থাকায় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হয়েছে। রেস্তোরাঁয় দীর্ঘ সারি ছিল। আবার খাবারের দামও রাখা হয়েছে বেশি।

মিরপুর ১৩ নম্বরের এক বাসিন্দার ভাষ্য, গ্যাস না থাকার বিষয়ে তাঁর এলাকায়ও মাইকিং করা হয়নি।

তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) এইচ এম আলী আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি এলাকায় সংস্কারকাজের জন্য গতকাল রাতে গ্যাস বন্ধ করা হয়। রাতেই কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে আজ দ্রুত গ্যাস চলে আসবে।

আশরাফের ভাষ্য, গ্যাস বন্ধ থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করার জন্য বলা হয়েছিল। কাজটি ঠিকভাবে করা হয়েছে কি না, তার খবর নেবেন তিনি।

তিতাসের এই কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য লাইন সংস্কার করতে গিয়ে বারবার গ্যাস বন্ধ করতে হচ্ছে।