বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি, তিন কোস্টগার্ড সদস্য নিহত

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বান্দ্রা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পটুয়াখালী কোস্টগার্ডের তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন মো. ফুয়াদ হোসেন (২৭), মো. আবু সাদেক (২৮) ও মো. এনামুল হক (২৮)। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. বশির উদ্দিন জানান, কোস্ট গার্ডের তিনজন সদস্য একটি মোটরসাইকেলে করে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিলেন। কলাপাড়ার দিক থেকে ছেড়ে আসা আল্লাহর দান নামক যাত্রীবাহী একটি বাস পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। কলাপাড়া-আমতলীর সীমান্তবর্তী বান্দ্রা নামক স্থানে বাস এবং মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল খালেক জানান, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমতলী থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মো. ফুয়াদ হোসেন ও এম এ সাদেকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মনে হয় ছুটির দিন থাকায় কোস্ট গার্ড সদস্যরা পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।’ এ ঘটনায় দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত মো. এনামুল হক মারা যান।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, বেলা পৌনে দুইটার দিকে নিহত দুজনের লাশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আমতলী থানায় নেওয়া হয়েছে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

দুর্ঘটনায় নিহত মো. এনামুল হকের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মো. ইউসুফ আলী। এম এ সাদেকের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মো. নাজিম উদ্দিন। আর মো. ফুয়াদ হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল হক।