নগরকান্দা রণক্ষেত্র: আহত অর্ধশত

ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌর এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় অন্তত ২০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরকান্দা উপজেলা সদরের এম এন একাডেমির দুই ছাত্রের মধ্যে বুধবার কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার নগরকান্দা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাত নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের চাচাতো ভাই ছাগলদী গ্রামের সুরুজ মাতুব্বর এর বিরোধ বাঁধে।

ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের বেইলি সেতু (ছাগলদী মোড়) এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকেরা ঢাল, সড়কি, বল্লম, ভেলা, রামদা, লাঠি, ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৩ জনকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুতর আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ২০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩৯টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের ১৬৫টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, নগরকান্দা থানা-পুলিশ ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশের সহায়তায় লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে বেলা দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।