নিহত কিশোরের ছবি প্রকাশ করেছে আইএস

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এক কিশোরের ছবি প্রকাশ করে তাকে বাংলাদেশি বলে দাবি করেছে। তার নাম আবু মুহাম্মাদ আল-বাঙালি বলে উল্লেখ করেছে তারা। বলছে, ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বোমা হামলা চালিয়ে সে নিহত হয়েছে।

আইএসের খবর বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশকারী ওয়েবসাইট আত-তামকীন বৃহস্পতিবার ওই কিশোরের ছবি প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে তা আয়াদ হাসানের। গত বছরের আগস্টে মিরপুর থেকে ‘ও’ লেভেল পরীক্ষার্থী আয়াদ ও তার খালাতো ভাই রাফিদ আল হাসান বাড়িতে চিরকুট রেখে বাড়ি ছাড়ে।

গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের গোলচত্বরে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। পুলিশ জানায়, লাশের ছবি দেখে স্বজনেরা লাশটি আয়াদ হাসানের বলে শনাক্ত করেন।

‘আর মুশরিকদের সঙ্গে যুদ্ধ করো সমবেতভাবে’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আয়াদই বিমানবন্দরের সামনে হামলা চালিয়ে নিহত হয়েছে। সিলেটের আতিয়া মহলে আইএসের সদস্যরা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। ঢাকার আশকোনায় র‍্যাবের ফোর্সেস ব্যারাকের ভেতরে বোমা বিস্ফারণের দায়ও স্বীকার করে আইএস।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, আইএসের প্রকাশিত ছবিতে মাথায় স্কার্ফ পরিহিত কিশোরকে ছুরি হাতে দেখা যায়। তার পেছনে আইএসের পতাকা। ওর আসল নাম এখানে বলা হয়নি। এখানে কুনিয়া বা ছদ্মনাম হিসেবে ওপরে দেওয়া হয়েছে আবু মুহাম্মাদ আল-বাঙালি।

জানতে চাইলে আয়াদের মা মুনমুন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে পুলিশি অভিযানের পরপরই আমরা ডিএনএ নমুনা দিয়ে এসেছি। নমুনা মিলিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে আমার ভাগ্যে কী ঘটেছে।’

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহিবুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদনটি তাঁদেরও নজরে এসেছে। ছবিটি অনেক আগের। লাশের যে ছবি দেখে তার স্বজনেরা আয়াদ বলে শনাক্ত করেছিলেন, সেই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে বোমা হামলার পর ২৭ মার্চ রাজধানীর মিরপুরের পর্বতা থেকে আয়াদের সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া তার খালাতো ভাই রাফিদ আল হাসানের বাবা তৌফিক হাসান, ভাই আহাম্মদ রাকিব আল হাসান ও মামাতো ভাই আরেফিন ইসলাম এবং তৌফিক হাসানের আত্মীয় শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।