রামপালের পরিবর্তে বিকল্প জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন

সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে রামপালের পরিবর্তে বিকল্প জায়গায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা। তাঁরা সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে সরকারকে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পার্টির পলিটব্যুরোর দুই দিনব্যাপী সভার শেষ দিনে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে সরকার রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ইতিমধ্যে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তিপত্র হস্তান্তর হয়েছে, যার শর্ত বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপালের পরিবর্তে বিকল্প জায়গায় স্থাপন করা প্রয়োজন। সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে সরকার এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে বলে দলটি মনে করে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সাংগঠনিক বিষয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের ব্যর্থতা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে হাওর অঞ্চলের ফসলহানি ও মৎস্যসম্পদের ক্ষতি হওয়ায় ওই অঞ্চলের জনগণ নিদারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা উচিত বলে নেতারা মনে করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, বাসমালিকদের স্বার্থেই গত কয়েক দিন ঢাকা মহানগরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার নামে সিটিং সার্ভিস বাতিলের নাটক হয়েছে। আর এই নৈরাজ্যের শিকার হয়েছে সাধারণ যাত্রীরা। বাসভাড়া নিয়ন্ত্রণে সরকারের অসহায়ত্ব সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। সভায় আলোচনায় অংশ নেন বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, শুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান, নূর আহমদ, হাজেরা সুলতানা, কামরুল আহসান প্রমুখ।