আমিন হুদা হাসপাতাল থেকে কারাগারে, যাচ্ছেন জোসেফও

আমিন হুদা (বাঁয়ে), জোসেফ
আমিন হুদা (বাঁয়ে), জোসেফ

ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদাকে বারডেম হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় এনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারের ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের লোকজন তৈরি আছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো ছাড়পত্র দেয়নি। ছাড়পত্র পেলেই তাঁকে কারাগারে নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ৩ মে ‘২০ মাস হাসপাতালে শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ!’ এবং রোববার ৭ মে ‘আমিন হুদা জেল খাটছেন হাসপাতালের বিছানায়!’ শীর্ষক দুটি প্রতিবেদন প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জোসেফ টানা ২০ মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কারাকক্ষে আছেন আরাম-আয়েশে। ১৯৯৯ সালের একটি হত্যাকাণ্ডে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। এই রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এখনো সাজা ভোগ করা বাকি আছে ২০ বছর ৯ মাস। তাঁর সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ ২০৩৯ সালের ২৪ জানুয়ারি।

অন্যদিকে ‘কোমর ব্যথা’ নিয়ে ভর্তি হয়ে টানা ১৮ মাস হাসপাতালের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে আরাম-আয়েশে কাটিয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদা। যদিও কারা কর্তৃপক্ষের কাগজপত্রে এই রোগীর ‘বুকে ব্যথা’র কথা বলা হয়েছে।

আমিন হুদাকে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে ১৩৮ বোতল মদ, পাঁচ কেজি ইয়াবা বড়ি (সংখ্যায় ১ লাখ ৩০ হাজার) এবং ইয়াবা তৈরির যন্ত্র ও উপাদান উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় তাঁর মোট ৭৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।