রড দিয়ে পেটানো আহত যুবকের মৃত্যু

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় লোহার রড দিয়ে পেটানোর ঘটনায় গুরুতর আহত মো. রাসেল (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মারা যান। নিহত রাসেল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. আবু জাফর গাজীর ছেলে।

রাসেলের সঙ্গে বাউফল উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত মো. কাওছার মুন্সির মেয়ে লাবণী আক্তারের (২৬) বিয়ে হয়। তাঁদের আফিফা নামের ১ বছর ৪ মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান আছে।

স্থানীয় লোকজন ও বাউফল থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাসেল গত বুধবার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাঁর শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গে একই বাড়ির চাচাশ্বশুর আনছারুল হক মুন্সির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রাসেলের স্ত্রী বড় হওয়ায় শ্বশুর পরিবারের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয় চাচাশ্বশুরের পক্ষ। গতকাল সকালে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান রাসেল। এ সময় তাঁর স্ত্রীর চাচাতো ভাই ফজলে রাব্বি তুফানের (২০) নেতৃত্বে ছয়-সাতজনের একটি দল লোহার রড দিয়ে রাসেলকে মারধর করে। এতে রাসেলের দুই পা ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

লাবণী আক্তার এমন নির্মম নির্যাতনে স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তিনি আহাজারি করে বলেন, ‘আমার ছোট শিশু আফিফা এখন আব্বু বলে ডাকবেন কাকে? তোরা আমার বাবার সব সম্পত্তি নিয়ে যা, আমার স্বামীকে ফিরাইয়া দে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় মামলা করেনি। এরপরও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।