বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির দূত: তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শান্তির দূত। শুধু বাংলাদেশ নয়, তিনি ছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা।

আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক পাওয়ার ৪৪তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন ও বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদান উপলক্ষে জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলতেন। বিশ্বশান্তির কথা বলতেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যখন বঙ্গবন্ধু যোগ দিতে যেতেন, তিনি থাকতেন সম্মেলনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। এ জাতিকে তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। একসময় যারা বলেছিল বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি, আজ তারাই বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। গড় আয়ু, শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হার, রপ্তানি, রিজার্ভ, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা খাতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর হাতে ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ তুলে দেন তোফায়েল আহমেদ। জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ দ্বিতীয়বারের মতো এ পদক দিল।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেন, ইসলাম আর ধর্মান্ধতা এক নয়। হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের ভাস্কর্য ভাঙতে পারলে একসময় তারা বলাকা, অপরাজেয় বাংলাসহ সব ভাস্কর্য ভাঙবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভীত না হয়ে কোনোভাবেই এ বিষয়ে আপস না করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদের সভাপতি সাংসদ গাজী মোহাম্মদ ফখরুল প্রমুখ।