তিন জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৭

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দিনের বিভিন্ন সময় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ফরিদপুরে মা-ছেলেসহ পাঁচজন, কুষ্টিয়ায় একজন ও পটুয়াখালীতে একজন নিহত হয়েছেন।

ফরিদপুর: ফরিদপুর সদর, সালথা ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে মৃত দবিরদ্দীন মোল্লার প্রতিবন্ধী মেয়ে সেলিনা বেগম (৩৫), সেলিনার ছেলে হেলাল মোল্লা (১৩) ও একই গ্রামের রহমান খানের ছেলে মিলন খান (৩৩) মারা যান। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ছমির ব্যাপারীর ফসলি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কাবেল বিশ্বাস (৪০) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। কাবেল কুষ্টিয়ার হাটখোলা গ্রামের বাদল বিশ্বাসের ছেলে। হরিরামপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিল্লাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ফরিদপুরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন দিন মজুর মো. ওমর (৪৫)। তিনি নাটোর জেলার মো. আনসারের ছেলে। সত্যতা নিশ্চিত করে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে কয়েকজন শ্রমিক খেয়াঘাটে একটি ছাপরায় আশ্রয় নেন। ওই ছাপরায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওমর।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে বাদশা (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাদশার ভাই রাজাসহ (১৬) আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আর নিহত বাদশার লাশ উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। বাদশা ঠাকুরপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

পটুয়াখালী: জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে বজ্রাহত হয়ে মাওলানা আবদুল কাদের গাজী (৪৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষক মারা গেছেন। তিনি দুমকির পশ্চিম আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিবাকর চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরে কাদের গাজী নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় বজ্রাহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুমটি লুথ্যারান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।