সেমাই এখনো টানেনি ক্রেতাদের

ছবি: আবদুস সালাম
ছবি: আবদুস সালাম

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে অনেকেই ‘সেমাই খাওয়ার ঈদ’ বলেন। এই ঈদে হরেক পদের সেমাই রান্না করে মানুষ। ঈদের আপ্যায়নেও বিভিন্ন ধরনের সেমাই রাখা হয়।
তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও রাজধানীতে এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি সেমাইয়ের বাজার। একই অবস্থা চিনি ও মসলার বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দোকানে মানুষ আসছে কম। তাঁরা আশা করছেন, ঈদের দু-তিন দিন আগে সেমাই-চিনির বাজারে মানুষ আসবে; তাঁদের বিক্রিও বাড়বে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সেমাই, চিনি, মসলার বাজারের বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। উপহার স্টোরের বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ‘বাজারে এখনো লোক সেভাবে আসা শুরু করেনি। কবে আইবো কে জানে।’ তাঁর ধারণা, বৃষ্টির জন্য ক্রেতারা কম আসছেন। তিনি জানালেন, বিভিন্ন কোম্পানির সেমাই নির্দিষ্ট দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য পণ্যেরও দাম বাড়ানো হয়নি।

পলাশ এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেকে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। তাঁরা ঢাকার বাইরে থেকেই সেমাই কিনবেন। আর যারা ঈদে ঢাকায় থাকছেন, তাঁরা এখনো দোকানে সেভাবে আসতে শুরু করেননি। হয়তো দু-এক দিন পর আসবেন।

ছবি: আবদুস সালাম
ছবি: আবদুস সালাম

হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন সেমাইয়ের দোকানে ঘুরে জানা গেল বনফুলের লাচ্ছা সেমাই ৮০০ গ্রামের বক্সের দাম ১৬৫ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ৫০০ গ্রামের বক্স ১৫০ টাকা ও ২০০ গ্রামের বক্সের দাম ৩০ টাকা। ওয়েল ফুড ৪০০ গ্রাম ১২০ টাকা, কুলসন সেমাই ২০০ গ্রাম ৩০ টাকা, প্রিন্স লাচ্ছা সেমাই ২০০ গ্রাম ২৫ টাকা, আলাউদ্দিন লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম ২০০ টাকা ও ডায়মন্ড সেমাই ৯০৮ গ্রামের দাম ৬৫ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন খোলা সেমাইয়ের দাম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, তাঁরা চকবাজার থেকে পাইকারি দামে এসব সেমাই কেনেন। কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা লাভ করেন। যাঁরা বেশি সেমাই কিছুটা কমদামে কিনতে চান, তাঁরা চকবাজার থেকে সেমাই কিনতে পারেন।
হাতিরপুল বাজারে সেমাই কিনছিলেন ভূতেরগলির বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, কয়েকজন আত্মীয়ের বাসায় সেমাই পাঠাতে হবে। প্রতিবছরই আমি আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠাই। এবারও পাঠাচ্ছি।
ঈদের শুরুতে চিনির কেজি ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়লেও গত কয় দিনে বাজারে চিনির দাম কমেছে। এখন প্রতি কেজি চিনি ৬৮ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছবি: আবদুস সালাম
ছবি: আবদুস সালাম

মসলার বাজারও জমেনি: মসলার বাজারও সেভাবে জমে ওঠেনি। কারওয়ান বাজারের মসলার বিক্রেতারা জানান, ঈদুল ফিতরে মসলা তুলনামূলক কমই বিক্রি হয়। মসলার মধ্যে ছোট এলাচির দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা গেল, দারুচিনি প্রতি কেজির দাম ৩০০ টাকা, লবঙ্গ ৯০০ টাকা, কাঁচা বাদাম ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, কিশমিশ ২৯০ টাকা, কাঠবাদাম প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা।