অননুমোদিত পাহাড় কাটা বন্ধসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাহাড়ি এলাকায় আর যেন পাহাড়ধসে ক্ষতি না হয়, এ জন্য অননুমোদিত সব ধরনের পাহাড় কাটা বন্ধ করাসহ আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় একগুচ্ছ প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ওই অঞ্চলের ভূমিধস পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় ১৮টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী সংবাদ ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবের কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো, সব ধরনের সাহায্য করাসহ কতগুলো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বালু উত্তোলন বন্ধ করা, চলমান সব হাউজিং প্রকল্পের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা, পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে কৌশলগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করে মানচিত্রে প্রদর্শন করা, শক্তিশালী তদারকি (ভিজিলেন্স) দল গঠন করা, যারা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার মানুষের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের সুপারিশ করবে। এ ছাড়া আরও কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতার বিভিন্ন তথ্য জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা এক দিনে হয়নি। সেখান থেকে যখন নতুন বসতি স্থাপন শুরু হলো, তখন থেকে এই পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণার যে দাবি জানানো হয়েছে, সেটাকে ফাঁকা আওয়াজ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। ফাঁকা আওয়াজে তাঁরা কান দেবেন না বলেও জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার কাজ আওয়ামী লীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘একটি দলের সাধারণ সম্পাদক (মহাসচিব) দুর্গত মানুষদের দাঁড়াতে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁকে নাকি আক্রমণ করা হয়েছে। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। এটা আওয়ামী লীগের কাজ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, দুষ্কৃতকারী যারাই হোক, তাদের শাস্তি পেতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এই কাজ করেছে, তারা কাজটি ভালো করেনি। তাদের শাস্তি হোক। সরকার কাউকে ছাড় দেবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন এবং সাংবাদিকদেরও এই বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান।

গত রোববার রাঙামাটিতে যাওয়ার পথে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলা হয়।