ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের চিন্তা ইসির

ভবিষ্যতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ জনসংখ্যার ভিত্তিতে নয়, বরং ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে করার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ের আগে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়। এতে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনসের নেতৃত্বে উন্নয়ন অংশীদারদের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এরপর সিইসি ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা যৌথ ব্রিফিং করেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই কমিশনের জন্য যেসব আইন আছে, তা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তবে অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমাদের এখানে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ হয় জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় যদি ভবিষ্যতে সীমানা নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর আসন বেড়ে যাবে, গ্রামাঞ্চলে কমে যাবে। এতে বৈষম্য তৈরি হতে পারে।’

তাই এসব সমস্যার সমাধানে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা নয়, বরং ভোটের সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু আইনগত সমস্যা আছে। সেটা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘কারিগর সহযোগিতা ও স্মার্ট কার্ড প্রকল্পে গতি আনতে কিছু যান্ত্রিক সহায়তা চেয়েছি।’

অন্যদিকে, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, ‘আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারি—তা জানতে চেয়েছি।’