পলাতক তিন আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

সিলেটে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলায় পলাতক তিন আসামির মালামাল ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ১৬ জুলাই অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। 


আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী জানান, মামলার মোট ছয়জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে তিনজন কারাবন্দী। তিনজন পলাতক আছেন। মালামাল ক্রোকের নির্দেশনা দেওয়া পলাতক তিন আসামি হচ্ছেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ফালজুর গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমেদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর (বাগলী) গ্রামের হারুন অর রশিদ (২৫)।

২০১৫ সালের ১২ মে সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২)। ঘটনার এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তভার সিআইডিতে স্থানান্তর হলে পরে আসামি শনাক্ত হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৮ মে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়। অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী আছেন কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ওরফে ইবনে মইন (২৪), ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশিদ আহম্মেদ (২৪) ও নগরের রিকাবিবাজারের বাসিন্দা সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)।

অনন্ত পূবালী ব্যাংকের সিলেট জাউয়াবাজার শাখায় ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকার পেশার পাশাপাশি তিনি বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করতেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞানবিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞানবিষয়ক ছোট কাগজ ‘যুক্তি’ নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা করতেন। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনন্ত।