ইসির কর্মকর্তা বদলি-প্রক্রিয়া নিয়ে সুজনের উদ্বেগ

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৩৩ জন কর্মকর্তা বদলির প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন। সংস্থাটি বলেছে, বিরাজমান আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি যৌথ সত্তা। কমিশনের পাঁচজন সদস্য তাঁদের প্রদত্ত ক্ষমতা যৌথভাবে প্রয়োগ করবেন।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মিলে কমিশনের কর্মকর্তা বদলিসংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি এ ক্ষেত্রে একজন কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত নিয়োগ ও বদলিসংক্রান্ত কমিটিকেও সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি আইন ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতি বলা হয়, এটি সুস্পষ্ট যে আইন ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলিসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কমিশনের সদস্যদের যৌথ সিদ্ধান্তে নিতে হবে। কারণ নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি কমিশনের নির্বাচনসংক্রান্ত দায়িত্বের সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট। এর ব্যত্যয় ঘটলে কমিশন নিজেই আইন ভঙ্গ করবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুজন আশা করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের অন্য সদস্যরা বিষয়টি আমলে নেবেন। সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি প্রদর্শন করা আরও বেশি জরুরি।

সুজন বলেছে, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা নাগরিকের স্বার্থে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এ জন্য কমিশনকে অগাধ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।