দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় তরুণেরা

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সব মহলের। সরকার কঠোর হাতে দমন করলেও জঙ্গিবাদ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েই গেছে। এ রকম এক পরিস্থিতিতে তরুণদের ভাবনা জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেশের নিরাপত্তা বা সুরক্ষা নিয়ে কি তাঁরা সন্তুষ্ট? দেখা যাচ্ছে, অন্যদের মতো এ নিয়ে তরুণেরাও চিন্তিত, উদ্বেগ তাঁদের মধ্যেও আছে।

জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ভালো নয়। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি তরুণ দেশের বর্তমান নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে এ শঙ্কা বেশি।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণী দেশের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের কম-বেশি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার বিপরীতে ৪২ শতাংশের বেশি তরুণ তাঁদের কম-বেশি শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, বাংলাদেশে সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর তরুণেরা যদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপদ বোধ না করেন, সেটি খুবই উদ্বেগজনক। বিশেষ করে নারী জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি বেশি উদ্বেগজনক।

জরিপে অংশ নিয়ে তরুণেরা দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পাঁচভাবে তাঁদের মতামত তুলে ধরেছেন। যেমন ‘খুব ভালো; মোটামুটি ভালো; নিশ্চিত নয়; মোটামুটি খারাপ ও খুব খারাপ’। খুব ভালো ও মোটামুটি ভালো যোগ করে ধরা হয়েছে ভালোর হিসাব। আর খুব খারাপ ও মোটামুটি খারাপ মিলিয়ে ধরা হয়েছে খারাপ অবস্থা।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ মনে করেন, দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ। শহুরে তরুণের মধ্যেই এ ধারণা প্রবল। এর বিপরীতে সাড়ে ৮ শতাংশ তরুণ বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা খুবই ভালো। আর ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, অবস্থা মোটামুটি ভালো। সব মিলিয়ে ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ দেশের বর্তমান নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ২ শতাংশ তরুণ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

তারুণ্য জরিপে বয়সের ভিত্তিতে যে তিনটি শ্রেণি করা হয়েছে, তার মধ্যে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সের তরুণেরা দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সবচেয়ে বেশি শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। জরিপে ২০ থেকে ২৪ বছরের তরুণের সংখ্যা ছিল ৩৮৫। আবার ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণের সংখ্যা ৪৪২। তাঁদের মধ্যে ৪৯ শতাংশের বেশি তরুণ দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে খারাপ বলছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন ৪৩৭ জন।