৩৩ জঙ্গির বিষয়ে তথ্য চেয়েছে দুই দেশ

৩৩ জঙ্গিসহ অপরাধ জগতের ৫৩ জনের বিষয়ে গতকাল সোমবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৩ জঙ্গি এবং ২০ জন মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানির ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর ভারতের পক্ষ থেকে ২০ জঙ্গির তালিকা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের জঙ্গিবাদ নিরোধের বিষয়ে যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তার সঙ্গে গতকাল বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্যবিনিময় হয়েছে। এসটিএফ ও এনআইএর তিনজন করে কর্মকর্তা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে ভারতীয় দলের সদস্যরা ২০ জন জঙ্গির ব্যাপারে তথ্য চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২০ জঙ্গির সঙ্গে ভারতের জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ ভারতে পালিয়ে থাকা ১৩ জন জঙ্গির তালিকা দিয়ে তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। এসব জঙ্গি দুই দেশেই সক্রিয়।

অপর একজন কর্মকর্তা জানান, গতকালের বৈঠকে ২০ জন চোরাচালানিকে গ্রেপ্তার করতে ভারতীয় গোয়েন্দাদের অনুরোধ করা হয়। এরা সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া ভারত থেকে কীভাবে বাংলাদেশে অস্ত্র আসছে, কারা আনছে, এসব তথ্য জানাতে ভারতীয় দলকে অনুরোধ করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় সন্ত্রাস দমনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এই কাজের ক্ষেত্র বাড়াতে চুক্তির পরিধি আরও বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়েও গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়।

মাহফুজকে ভারতের গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নব্য জেএমবির নেতা সোহেল মাহফুজকে ভারত থেকে আসা এসটিএফ ও এনআইএর কর্মকর্তারা গতকাল ঢাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সোহেল মাহফুজ ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

পুলিশ সূত্র জানায়, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পাশাপাশি ভারতের কোথায় কোথায় জেএমবির তৎপরতা আছে, তারা কতটা সংগঠিত, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু কী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এসটিএফ সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় সোহেল মাহফুজকে গতকাল আরও ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এর আগে ৯ জুলাই তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।