মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের তিনটি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ভাঙা আর উঁচু-নিচু সড়কে গাড়ি চালাতে হয় ধীরগতিতে। আর বৃষ্টি হলে কাদাপানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে নাকাল হন পথচারীরা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকের সড়কের নাম ভাসানী রোড। গতকাল সোমবার এই সড়ক ধরে যাওয়ার পথে একটু পরপরই এখানে-সেখানে ভাঙা দেখা যায়। উঁচু-নিচু সড়কে রিকশা, হিউম্যান হলার চলছে ঝাঁকুনি খেতে খেতে।
সড়কটির দুপাশে আছে পোশাকের দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সড়কের এই অবস্থার কারণে তাঁদের ব্যবসার অবস্থা খারাপ।
এরপর অ্যাভিনিউ ৫-এ গিয়ে দেখা যায়, প্রশস্ত এ সড়কের কিছুদূর পরপর কার্পেটিং উঠে গেছে। এসব জায়গা দিয়ে পার হওয়ার সময় যানবাহনগুলোকে জোরে ঝাঁকুনি খেতে হচ্ছে। আর বড় গাড়ি চলার পর পেছনের পথ ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে।
অ্যাভিনিউ ৫ থেকে পশ্চিম দিকে গেলে ঢালু একটি সড়ক। এর নাম বটতলা-প্যারিস রোড। এ সড়ক দিয়ে এগোতে থাকলে ছোট ছোট গর্ত চোখে পড়বে। গর্তগুলোয় জমে আছে পানি।
গতকাল দেখা যায়, বটতলা-প্যারিস রোডের বড় একটি গর্তে পানি জমে থইথই করছে। এ সড়কের এক পাশে নালার পানি বয়ে যাচ্ছে। গাড়িগুলো যাচ্ছে ধীরে ধীরে হেলেদুলে। আবার রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে সড়কে আটকে থাকতেও দেখা যায়। বড় গাড়ির চাকা গর্তে জোরে আছড়ে পড়ছে, তারপর স্পিড বাড়িয়ে গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন চালকেরা।
এই গর্তের পাশেই একটি কালভার্ট। এর অর্ধেক অংশ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। লোকজনকে সতর্ক করার জন্য এই ভাঙা অংশে একটি বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আতিক হাসান বলেন, তিনি দুই বছর ধরে এই এলাকায় থাকেন। এই এলাকার অনেকগুলো সড়কের অবস্থাই খারাপ। বটতলা-প্যারিস রোডের গর্তটি দেড় থেকে দুই বছর ধরে এই অবস্থায় দেখছেন। বৃষ্টি হলে এই সড়কে কোমরপানি হয়। এ সড়ক দিয়ে যাঁরা নতুন আসেন, তাঁরা জানে না গর্তের গভীরতা কতটুকু। এ কারণে তাঁরা সোজা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের একটি জায়গা দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে তিনি একদিন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার সড়কগুলোর সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি এখনো মীমাংসিত হয়নি। তারপরও সড়কের কাজের জন্য কার্যাদেশ হয়েছে। এলাকার সড়কগুলোর উন্নয়নে ১০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কাজ হচ্ছে। চার মাস আগে সড়কগুলোর কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার সড়কের সবচেয়ে ভাঙা ও বেহাল অংশের কাজ শুরু হবে।
গতকাল মিরপুর ১১ নম্বরে আরও কয়েকটি সড়ক বেহাল দেখা যায়। সড়কগুলোতে নালার দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
মিরপুর ১১ নম্বরের রিকশাচালক মো. সোহেল হোসেন বলেন, তিনি এলাকার সব সড়কে রিকশা চালান। এসব রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকার কারণে বৃষ্টি এলে তিনি রিকশা চালান না।