নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাদিকুল ইসলামের সন্ধানের দাবিতে গতকাল সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এদিকে সাদিকুলের সন্ধান চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সহপাঠীদের অভিযোগ, গত ২৩ মে ভোররাতে আদাবর থানার ৫ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি সাদেকুলকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

সহপাঠীরা জানান, সাদেকুলের সন্ধানের দাবিতে গতকাল সকাল নয়টায় বিভাগে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিভাগের সব কটি শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর তা খুলে দেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। এভাবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদে বিক্ষোভ মিছিল চলে।

সহপাঠীরা জানান, আদাবরে মেসে থাকতেন সাদেকুল। কোনো কারণ ছাড়াই ওই রাত সাড়ে তিনটার দিকে কয়েক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ওই মেসে প্রবেশ করেন। এ সময় সবার মুঠোফোন পরীক্ষা করা হয়। এ সময় উপস্থিত মেসের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও তাঁরা দেখাননি। তাঁদের মারধর করে চুপ থাকতে বলা হয়। এর কিছু সময় পর সাদেকুল ইসলামকে তাঁরা তুলে নিয়ে যান। এ বিষয়ে গত ২৫ মে আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাদেকুল ইসলামের সন্ধান চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান।

জানতে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান পরিমল বালা বলেন, সাদেকুলকে তুলে নেওয়ার ঘটনার পরপরই বিষয়টি উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের জানানো হয়েছে। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবর উপাচার্য আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।