মর্গ থেকে সরানো হয়েছে বেওয়ারিশ লাশগুলো

রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে পানি জমেছে। এতে লাশ দাফন করা যাচ্ছে না। তাই মাটি ফেলে জায়গা উঁচু করা হচ্ছে। ছবিটি গত শনিবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো
রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে পানি জমেছে। এতে লাশ দাফন করা যাচ্ছে না। তাই মাটি ফেলে জায়গা উঁচু করা হচ্ছে। ছবিটি গত শনিবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা সব কটি বেওয়ারিশ লাশ বুঝে নিয়েছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে লাশগুলো সরানোর কাজ শেষ হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ইনচার্জ সেকেন্দার হোসেন এ তথ্য জানান। তবে পরিপূর্ণ বা অপূর্ণ হয়ে জন্মানো নবজাতকের ২০টি লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।

গত রোববার প্রথম আলোর রাজধানী পাতায় ‘কবরস্থানে পানি, ২৫ অজ্ঞাত লাশ ২০ দিন ধরে মর্গে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ২৫টি বেওয়ারিশ বা অজ্ঞাত লাশে পচন ধরেছে। মর্গের যে কর্মীরা প্রতিনিয়ত পচাগলা লাশ দেখে অভ্যস্ত, তাঁরাও লাশের এ দশা আর সহ্য করতে পারছেন না। বৃষ্টিতে জুরাইন কবরস্থানে পানি জমায় লাশগুলো দাফন করা যাচ্ছে না। এরপর লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বেওয়ারিশ লাশগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ কর্তৃপক্ষ। মর্গে এখন স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে বলে জানায় তারা। এ জন্য তারা গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানায়।

রাজধানীতে আইনি প্রক্রিয়া মেনে বেওয়ারিশ লাশের দাফনের দায়িত্ব নেয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। আর একমাত্র জুরাইন কবরস্থানে এই লাশগুলো দাফন করা হয়। গত শনিবার জুরাইন কবরস্থানে দেখা যায়, মাটি ফেলে কবরস্থান উঁচু করা হচ্ছে। কবরস্থানের জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে। এ অবস্থায় কবরস্থান কর্তৃপক্ষ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছ থেকে লাশ নিয়ে দাফন করতে পারছিল না। ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চলছিল। ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে বেওয়ারিশ লাশ জমে যায়।