ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলা

বাস উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে সোমবার পুলিশের সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে মারধর করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাস উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে সোমবার পুলিশের সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে মারধর করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। প্রথম আলাে ফাইল ছবি

দোতলা বাস নিয়ে উল্টো পথে যেতে না দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে হামলার শিকার ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় তিনটি দোতলা বাসের চালক, চালকের সহকারী ও অজ্ঞাতনামা ছাত্রদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের ট্রাফিক (দক্ষিণ) বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দিন। তিনি জানান, তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে আজ সকাল সোয়া নয়টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক, দক্ষিণ) একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা নিয়ম ভঙ্গকারী ও হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটরে সিগন্যালে এসে থামে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র বাস থেকে নেমে কারওয়ান বাজারের (সোনারগাঁও ক্রসিং) দিক থেকে শাহবাগগামী গাড়িগুলোকে আটকে দোতলা বাস দুটিকে উল্টো পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট এসে বাধা দেন। সার্জেন্টের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। সার্জেন্ট ছাত্রদের চলতি ট্রাফিক আটকাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে বাস থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র নেমে সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী হামলাকারীদের নিরস্ত করারও চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের থামানো যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলে থাকা আরেক সার্জেন্ট দৌড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে ছাত্ররা বাসে ফিরে যান। তখন বাস দুটি সোজা পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা হয়।